‘পারিবারিক হোমিও চিকিৎসা’ বইটি ঘরে বসে নিজে নিজে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার একটি অন্যতম সহজ মাধ্যম। রোগ লক্ষণ সনাক্ত করে ঔষধ নির্বাচন করে সঠিক নিয়মে সেবন করলে রোগী ভালো হয়ে আনন্দ লাভ করবে। ৫টি কমন ঔষধ মহিলাদের জন্য সর্বদা ঘরে রাখবেন- ব্রায়োনিয়া, বেলেডোনা, সিপিয়া, এ্যাকোনাইট ন্যাপ, থুজা। আর শিমুদের জন্য প্রয়োজন- সিনা, চায়না।
এই পীড়ায় নাড়ী ধীর গতি হইলে মাথাঘোরা, দুর্বলতা বা ক্ষণস্থায়ী মূর্ছা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় সামান্য পরিশ্রমেই প্রবল শ্বাসকষ্ট, বুকে বেদনা বা বক্ষশূল প্রকাশ পায়। কমপ্লিট হার্ট ব্লক হইলে মারাত্মক লক্ষণ প্রকাশ পায়, হৃদক্রিয়া সাময়িকভাবে স্তব্ধ হইয়া যায়। ইহার পরিণাম ফল হিসাবে মাথাঘোরা, মূর্ছা প্রভৃতি দেখা দেয়। সাংঘাতিক ক্ষেত্রে রোগী সম্পূর্ণ অজ্ঞান হইয়া যায় এবং মৃগীর ন্যায় আক্ষেপ হইতে পারে। রোগী বিবর্ণ, মুখমণ্ডলী নীলাভ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে ঘড়ঘড়ানি শব্দ হয়। ভেন্ট্রিকলদ্বয় সম্পূর্ণ স্তব্ধ হইয়া যায় এবং জুগুলার শিরা মধ্যে অরিকলের স্পন্দন দেখা দেয়। যদি এই অবস্থায় ভেন্ট্রিকল ক্রিয়াশীল হয়, তাহা হইলেই রোগীর জ্ঞান ফিরে এবং রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আসে।
এ ওষুধ বিকার জ্বরে উৎকৃষ্ট, রোগের শেষ অবস্থায় শক্তি ক্ষয় ও নিস্তেজ হয়ে পড়া, বেশি পিপাসা ও অল্প অল্প জল পান, অস্থিরতা, উদরমায় মল কালো দুর্গন্ধময়, বারবার প্রস্রাবের বেগ, অল্প পরিমাণেও জ্বালা কম প্রস্রাবে পেট ফাঁপা অসাড়ে ভেদ শয্যা ক্ষত। দুপুরবেলা ও মধ্যরাতের পর সমস্ত রোগ লক্ষণ বাড়ে। গা জ্বালা পোড়া পেটের ভেতর জ্বালা ঘুম ঘুম ভাব কানে কম শোনা উকি ও বমি, পেট ব্যথা, গলা ভাঙা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ইত্যাদি রাসটক্স ব্যবহারে ফল না হলে, দুর্বলতা দেখা দিলে, এটা দেওয়া উচিত। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্সেনিক এ রোগে উপযুক্ত ওষুধ।