আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বই পড়া ছিল নেশা। বুঁদ হয়ে পড়তেই ভালোবাসতেন। আর ছিল গল্প-উপন্যাসের নিজস্ব জগৎনির্মাণ। তিনি বুলবুল চৌধুরী। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াণের আগ পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডাও দিতেন। তাঁর বয়সের চাইতে বড়ো, সমসাময়িক এবং তরুণ-সবার সঙ্গে ছিল তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব। পুরান ঢাকার সোঁদা গন্ধ, চিরকালীন রূপকথার মতো সেখানকার লোকজনের জীবন, তাদের গল্পের সব মুখরতা যেন বুলবুল চৌধুরীর লেখায় রূপময় হয়ে আছে।
কেবল বড়োদের জন্য নয়, তিনি বিস্তর লিখেছেন শিশু-কিশোরদের অদ্ভুত সব কাহিনি। সেসব গল্পের আশ্চর্য জগৎ রূপকথার আলো-ছায়ায় ঘেরা। লোককাহিনির রূপসী কন্যা কাজলরেখা, কাঞ্চনমালা, ভয়ংকর ডাকাত কেনারাম, নেজাম ডাকু, ভূত-প্রেত, রাজা-রানির চিরচেনা গল্পগুলো তিনি নতুন ভাষায় জীবন্ত করে তুলেছেন। এই যে প্রচলিত লোকগল্পের নতুন উপস্থাপনা, এখানেই একজন কথাশিল্পীর মৌলিকতা। প্রথম গল্পগ্রন্থ টুকাকাহিনী রচনা করেই তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে নিজের অবস্থান চিনিয়ে দিতে পেরেছিলেন। তিনিই লিখেছেন শিশুতোষ একগুচ্ছ কাহিনি। সেগুলো একত্রে প্রকাশের সংবাদ অত্যন্ত আনন্দের।
যে কথাটি বলা প্রয়োজন, শিশু-কিশোর রচনার জন্য খুব জরুরি বিষয় হলো তাদের মানসিক জগতের রূপান্তর ও বিকাশ জানা এবং উপযোগী হৃদয়গ্রাহী ভাষার সারল্য সৃষ্টি। বুলবুল চৌধুরী সে কাজটিও করেছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গে। ফলে আমাদের কিশোরসাহিত্যে তাঁর এই সমগ্র বেশ গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
Report incorrect information