পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সাথে প্রথম পরিচয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। তাঁর সঠিক নাম
আমার মনে নেই। সেই ব্যবসায়ীর সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তাঁকে নিয়ে গল্প লেখার
ইচ্ছা ছিলো অনেকদিন থেকেই। যতদূর মনে পরে সে পুরাতন ঢাকার লালবাগে বসবাস
করতো। সেই থেকে সৃষ্টি হলো লালমিয়া নামক এক চরিত্রের। লালমিয়াকে নিয়ে বেশ
কয়েকটি গল্প প্রকাশিত হয়েছে আমার আগের প্রকাশিত বইগুলিতে। এবারে একটি বইয়ে
তাঁকে নিয়ে তিনটি রম্যগল্প লিখলাম সে কারণেই এবারের বইয়ের নাম দিয়েছি 'লাল বাগের
লালমিয়া'। এবারে বইয়ের অধিকাংশ রম্যগল্প প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো পত্রিকায়।
আমাদের সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক ও নাট্যকার ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ। তাঁর কোনো
এক জন্মদিনে তাকে নিয়ে একটি ঘটনা পাঠিয়েছিলাম প্রথম আলো পত্রিকায়। সেটি
যথাসময়ে ছাপা হয়েছিলো। সেই ছোট্ট লেখাটি এই বইতে যোগ করলাম।
প্রতিবারের মতো রম্য গল্পের সাথে একটি ছোট গল্প যোগ করলাম, নাম 'মোহিনী'। এই
গল্পের নায়িকা মোহিনীর ভাগ্য পরিবাহিত হয় সমাজের ভিন্ন খাতে। গ্রাম বাংলার অগণিত
কিশোরী, সমাজের নিপীড়নে যাদের জীবনের গতি স্বাভাবিক দিকে না গিয়ে প্রবাহিত হয়
অনাকাঙ্খিত জীবন যাপনে। মোহিনী সেই হতভাগ্য এক তরুণী, যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে
আসতে চায়। আশা করি গল্পটি পাঠকদের ভালো লাগবে।
আমি অভিভূত ও বিস্মিত হয়েছি আমার এই বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন বাংলাদেশের অন্যতম
পধান কবি আমার পিয় কবি— নির্মলেন্দু গুণ। তাঁর এই উৎসাহব্যঞ্জক কথাগুলো আমার
জীবনে অনুপ্রেরণার পাথেয় হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।