আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
ব্রিটিশ রাজ্যের বঙ্গীয় অঞ্চলে বহু ভাঙা—গড়ার আন্দোলন ছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
একটি হলো কুসংস্কার ভেঙে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং শৈল্পিক বিকাশ। সে
আন্দোলনের অগ্রদূত ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তার সময়েই সতীদাহ প্রথা রোদ হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সময়ে; ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীন
গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির সহায়তায় ভারতবর্ষের সকল বিচারব্যবস্থায় হিন্দু
বিধবাদের পুনর্বিবাহ বৈধ করা হয়েছিল। সতীদাহ বিলুপ্ত করার পর এটিই প্রথম বড় সমাজ
সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।
কালক্রমে বঙ্কিমচন্দ্র, মীর মোশাররফ হোসেন, রবি ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ গুণী
প্রতিভাবান ক্ষণজন্মার আবির্ভাব ঘটেছে এই বঙ্গদেশে। অতঃপর বঙ্গভঙ্গ রোদ হয়ে, অনেক
নাটকীয়তা শেষে বৃটিশ বিভক্তি হয়ে স্বাধীন বাংলা। তবুও সংস্কার থেমে নেই।
প্রাত্যহিক জীবনে যেমন কাম—শ্রম অতঃপর স্নান ঘরে পরিশুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা। তেমনি
সংস্কার—ও, সামাজিক জঞ্জাল, অসঙ্গতি, অসমতা দূরীভূত করতে সাহিত্য মূখ্য ভূমিকা পালন
করে। অব্যাহত ধারায় সমতা জাগরণে অবদান রেখেছেন বাঙ্গালির গর্ব কামিনী রায়, বেগম
রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, নীলিমা ইব্রাহীম, জাহানারা ইমাম, সেলিনা হোসেন সহ বহু নারী
সংস্কারক। তবুও আমরা আজও পাইনি বিভেদ হীন সুস্থ সমাজ বা পরিবার। কান পাতলেই
আজও শোনা যায় নিজ গৃহে নারীর আর্তচিৎকার। সেসব জুলুম অত্যাচার নিরসনে আজও
কাজ করে যাচ্ছে প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিক শিক্ষক বুদ্ধিজীবী। এই সমাজ সংস্কারেরই
ধারাবাহিকতায় মারজিয়া পপির এবারের প্রকাশনা "নিঃশব্দ আর্তনাদ।"
যা সমাজ সংস্কারে বিশেষ ভাবে অবদান রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
"নিঃশব্দ আর্তনাদ" উপন্যাসটি মূলত সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। যদিও বইটিতে
পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার একাধিক দিক স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তবুও বইটির
বিষয়বস্তু পুরুষদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুরুষদের
আত্মসমালোচনারও সুযোগ করে দেয়। যাতে তারা বুঝতে পারেন যে শুধুমাত্র শরীর নয়,
নারীর মন ও হৃদয়ের গভীরতাকে সম্মান করাই প্রকৃত ভালোবাসা।
“নিঃশব্দ আর্তনাদ” বইটিতে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার এক বাস্তব ও প্রয়োজনীয় দিক তুলে
ধরেছেন লেখক। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের বিষয়ে বইটিতে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের
দিকে ইঙ্গিত রয়েছে।
তাছাড়া বইটি থেকে নারী সমাজ ও অভিভাবক মহলও বেশ উপকৃত হবেন বলে আমি আশা
করছি।
"নিঃশব্দ আর্তনাদ" বইটি পাঠকের জন্য সত্যিই এক ভিন্নধর্মী স্বাদ নিয়ে এসেছে। আমি মনে
করি বইটি পাঠক মহলের মনে আলাদা একটা স্থান করে নিবে।
— প্রকাশক
আব্দুল্লাহ আল তানিম
Report incorrect information