ফরবিডেন পলিটিকস বাংলাদেশ আন্ডার মার্শাল'ল (হার্ডকভার)

এই বইটি মার্কিন জাতীয় আর্কাইভের গোপন কূটনৈতিক নথির উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। এখানে জিয়া যেভাবে দেশ শাসন করেছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে। এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের দমন করেছিলেন, কীভাবে তিনি ধীরে ধীরে সেনানিবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ভবনে পৌঁছান এবং শেষ পর্যন্ত কীভাবে তিনি এক জনপ্রিয় কিন্তু বিতর্কিত রাজনীতিবিদে পরিণত হন।

বইটিতে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এই দুটি দেশ উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী খেলোয়াড়। চীন যখন বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে উঠে আসতে শুরু করে, তখন বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশকে নিজেদের দলে টানতে চেয়েছিল। বইটিতে আরও বর্ণনা করা হয়েছে ভারতকে হতাশ করে জিয়া কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন যার কারণে সমালোচকরা তাঁকে অনেক কটুকথা বলে ব্যঙ্গ করেছিল।

১৯৭৫ সালে, ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জিয়াকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চাইবার দাবি, ওয়াশিংটন ও দিল্লি এখনও দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে। তবে আজও, এই দুটি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। ওয়াশিংটন জিয়ার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে। দিল্লি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলকে সমর্থন করে। এই দলটি বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে চান। কারণ তার সন্দেহ, জিয়া তার পিতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।