এই সুন্দর ভুবনে আজীবন সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকতে কে না চায় বলুন! আহা! যদি সত্যিই এমন হত তাহলে তো বিশ্বজুড়ে শরীর-স্বাস্থ্যের নানা দিক নিয়ে নানা নামে বিশেষ বিশেষ দিন পালিত হত না। তবু আমরা প্রত্যেকেই পেতে চাই নীরোগ জীবন। আসলে শরীরে দু'ভাবে রোগ বাসা বাঁধে। এক বহিরাগত।
দুই অভ্যন্তরীণ। জলবাহিত, মশাবাহিত, পশুপাখিবাহিত ইত্যাদি বাইরে থেকে আসা ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসজনিত আক্রমণের জন্য আপনি বা আপনার শরীর দায়ী নয়। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও জেনে রাখা দরকার শরীরের অভ্যন্তরীণ উপদ্রবের কারণ আপনি নিজেই। অভ্যন্তরীণ মানে? মেটাবলিক বা বিপাকীয় সমস্যা।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বা লিভারে গোলমাল, হার্ট বা আর্থ্রাইটিস, দৃষ্টিহীনতা, দাঁতের, মুখগহ্বরের সমস্যা, পায়ের সমস্যা, স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাধা এইসবই আসলে শরীরের অভ্যন্তরীণ উৎপাত।
বহিরাগত রোগের চিকিৎসার জন্য আমরা যেমন চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাই তেমনই শরীরের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রেও আমাদের বদ্ধমূল ধারণা, এক্ষেত্রেও চিকিৎসকই বুঝি একমাত্র ত্রাতা। এখানেই ভুল করেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ, ওই অসুস্থতার জন্য কোনও ভাইরাস নয়, ব্যাক্টেরিয়া নয়, দায়ী আমাদের খাদ্যরীতি আর বেপরোয়া জীবনযাত্রা।
একটা কথা স্মরণে রাখুন, নিজেকে সুস্থ রাখা কোনও ওষুধ বা আধুনিক চিকিৎসার কর্ম নয়। ডাক্তারবাবুরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে যে নিদান দেন সেখানেও তাঁদের ভরসা একটাই- ওষুধ। না, ওষুধ রোগকে সাময়িক চাপা দিয়ে রাখতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাময় করতে পারে না।
কী ভাবছেন? সুস্থ জীবন রাখতে, রোগজর্জর জীবন থেকে কীভাবে মিলবে চিরমুক্তি? তাহলে বেপরোয়া জীবনযাত্রাকে চিরতরে বিদায় দিয়ে সোজা রাস্তায় হাঁটুন। মুশকিল আসানের একটাই পথ। প্রাত্যাহিক জীবনরীতি ও খাদ্যরীতির পরিবর্তন।
আর ডায়াবেটিস ও বিপাকজনিত যাবতীয় রোগ-দুর্ভোগ থেকে আরোগ্য লাভকরতে গীতা, বাইবেল, কোরানের মতোই সর্বদা সঙ্গে রাখুন সুস্বাস্থ্যের সঙ্গী 'ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি' বইটি।
ওষুধ তো নয়ই, সেই সঙ্গে জেনে নিন পাকস্থলীকে দূষণমুক্ত রাখার বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগ করে দীর্ঘজীবন লাভের অভিনব কৌশল। জীবনধারণ নয়, জীবনের প্রতিটা দিন তখন হয়ে উঠবে আপনার কাছে উদ্যাপন।