এখন বলা হচ্ছে যে ১৯৪৭ বা পাকিস্তান আন্দোলন না হলে ১৯৭১ হতো না। অথচ ১৯৪৭ হচ্ছে বাঙালির সুদীর্ঘ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের আন্দোলনে ক্ষণকালের একটি ছেদ মাত্র।
১৯৪৭-এর ভিত্তি ছিল সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্ব। বাঙালির আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ও উদ্যোগগুলোয় দ্বিজাতিতত্ত্ব ছিল একটি কুঠারাঘাত।
হাত ধরাধরি করে চলা সাম্প্রদায়িক ও ঔপনিবেশিক অপশক্তির এই দ্বিজাতিতত্ত্বের কূটচালের বিপরীতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাঙালি ঘুরে দাঁড়ায়। ১৯৭১ সালের মধ্যে দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর রচনা করে বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পরিণতি পায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
১৯৪৭-কে নাকচ করে দিয়েছে ১৯৭১।
স্বাধীন দেশে ১৯৭১-এর আদর্শিক চর্চার ঘাটতির ফলে ১৯৭১-এর পরাজিতরা আবারও ১৯৪৭-কে ফিরিয়ে আনার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘোরে না। ১৯৭১-কে এগিয়ে নিতে একুশ শতকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের নবতর পুনরুত্থান নিশ্চিত করাই আজ ঐতিহাসিক করণীয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধানতম রূপকার সিরাজুল আলম খান বিগত প্রায় তিন দশক ধরে বাঙালির তৃতীয় জাতীয় মহাজাগরণের আহ্বান জানাচ্ছেন।
সমকালীন বাংলাদেশের সংকট উত্তরণে তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দেয়া সকলের অবশ্যকর্তব্য।
Report incorrect information