Category:বইমেলা ২০২৫
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
উত্তরের হাওড় থেকে ঠান্ডা বাতাসের একটা ঝাপটা প্রাসাদের বারান্দায় আছড়ে পড়ে। সখিনা দোপাট্টা দিয়ে তার মাথা আর মুখ ভালো করে ঢেকে ফেলে। শেষ বিকেলের সূর্যের ডিমের কুসুমের মতো আলো সখিনার ডান গালের ওপর এসে পড়ে। সেই আলোয় সখিনাকে মনে হয় এক নুরানি জিন। কালো ঘাগরা আর রেশমি সাদা কামিজে বিকেলের শেষ আলোতে সখিনার রূপ ঠিকরে ঠিকরে বের হচ্ছিল। কিন্তু সেই রূপ দেখার কেউ নেই। এ যেন গভীর জঙ্গলের ঝোপঝাড়ে প্রস্ফুটিত হওয়া কোনো রঙিন ফুল, যা আপনাতেই ফুটে আবার আপনা থেকেই ঝরে যায়। কারও নজরে পড়ে না।
একটা শালিক খড় মুখে উড়ে যাচ্ছিল। সখিনা মন খারাপ করে পাখিটার দিকে তাকিয়ে থাকে আনমনে। হয়বতনগরের পিতাপুত্রের খুন হওয়ার বিষয়টা সে কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছে না। সে ভেবেছিল ঠগিদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর হয়তো এদের উৎপাত কমবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ঘটনা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। একটা আয়রাকুতি পাখি কোয়া কোয়া শব্দ করে শুকনো হাওড়ের বাতাসে ভাসতে ভাসতে হয়তো তার নীড়ে ফিরছিল। সখিনা পাখিটার আওয়াজ লক্ষ করে তাকিয়ে থাকে। শীতের বাতাসে চোখে পানি আসছিল। বাইরে বসে থাকা ঠিক হবে না আর।
Report incorrect information