Category:বইমেলা ২০২৫
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
জাতিসংঘে চাকরির সুবাদে ‘তেলের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে লেখক হাস্নাহেনা ১৯৯৭ সালের মার্চ-ডিসেম্বর পর্যন্ত ইরাকে ছিলেন। দেশটি তখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন কঠোর অবরোধের মুখোমুখি। সে সময় তিনি সারা ইরাকজুড়ে জাতিসংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ তো করেছেনই, কান পেতে শুনেছেন ইরাকিদের একান্ত কথা, চোখ মেলে দেখেছেন ইরাকের মানুষের দীন জীবনযাপন। জাতিসংঘের অবরোধের মধ্যে কীভাবে কেটেছে তাদের দৈনন্দিন জীবন, জীবিকা, তার একটি চিত্র মিলবে এই স্মৃতিকথায়।
দিনলিপির মতো করে ব্যক্তির অভিজ্ঞতার কথা লেখা হলেও এতে উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ভূমিকা, দেশটির সেসময়কার আর্থসামাজিক অবস্থা, নারী-পুরুষ সম্পর্কের ওপর পুরুষতান্ত্রিক প্রতিফলন এবং লেখকের জীবন দর্শন। জাতিসংঘে চাকুরিরত অবস্থায় সংস্থাটির কিছু কার্যকলাপের বিরোধিতা করায় কর্মক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব বিষয়েও তিনি লিখেছেন। পরবর্তীকালে ইরাক যে আবারও মার্কিন আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের শিকার হলো, তার প্রেক্ষাপটটি এই গ্রন্থে দারুণভাবে উঠে এসেছে।
ইরাকের ডায়েরি: যুদ্ধ, অবরোধ, জনজীবন নিয়ে জাতিসংঘের এক নারী পর্যবেক্ষকের দিনলিপি (মার্চ-ডিসেম্বর ১৯৯৭) বইটি মধ্যপ্রাচ্যের সমাজ, মার্কিন নীতি ও জাতিসংঘের ভূমিকা এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিষয়ে আগ্রহী পাঠকের কৌতূহল মেটাবে।
Report incorrect information