হায়-রে তারাবীহ! এ নামাজ নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করে না। সারাজীবন তারাবী পড়েছি; একটু যদি সহিহ্ আল বুখারীও পড়ে নিতাম, তাহলে হয়তো ‘বিদ’আত’ হতে বেঁচে যেতাম। যেখানে সহীহ আল বুখারী ১৮৬৮ নং হাদীসে সুস্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত যে, এই তারাবীর নামাজ মহানবী (সা.)-এর যুগে জামাতের সঙ্গে পড়ার প্রচলন তো ছিলো-ই না; এমনকি হযরত আবু বকর (রা.)-এর যুগেও ছিল না; এমনকি হযরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলের প্রথম দিকেও ছিল না। তারাবীর নামাজ পড়ার ‘সুন্নত’ রাসূল (সা.)-এর ওফাতের প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর প্রচলিত হয়!!!
সবশেষে এটাই আশাবাদ, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনা, উত্তম যুক্তি-তর্ক এবং পক্ষপাতহীন নির্মোহ দৃষ্টিভংগী নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘হক’ ও ‘বাতিল’-এর অনুসন্ধান প্রয়োজন, মাযহাবগত আকীদার অন্ধ-বিশ্বাস মুক্ত মানসিকতা সু-বিবেচনার সাথে গ্রহণ করলে —এ লেখাটি মনের উপর বোঝা না হয়ে সত্য প্রাপ্তির প্রশান্তি লাভ করবে বলে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ্ সত্যের সন্ধান লাভ ও নাজাতের উপায় হাসিল হবে —এই প্রত্যয়ই নিবেদন করি।