Category:মার্ক্স
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আপনি কখনও কোনো প্রাণী হত্যা করেছেন বা খুন হতে দেখেছেন? হাঁস-মুরগি জবাই করা থেকে গোরু জবাইয়ের মতো ঘটনা হোক, আর সাক্ষাৎ মানুষ খুনের মতো ঘটনাই হোক-এমন কোনো ঘটনা যদি দেখে থাকেন, সমস্ত ঘটনাতেই আপনি সাধারণভাবে যেই জিনিসটা খুব স্পষ্ট দেখবেন সেটা হচ্ছে প্রাণের বেঁচে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা। প্রাণপণে এই আকস্মিক মৃত্যুকে অস্বীকার করতে চায় খুন হতে চলা প্রতিটি প্রাণ, আমরা বিশ্বজিৎকে দেখেছি টেলিভিশনের ক্যামেরায় কী নিদারুণভাবে ঘাতকদের একের পর এক ছুরির আঘাত থেকে বাঁচতে চাইছেন। র্যাবের হাতে গুলি খাওয়া টেকনাফের একরামুল হকের ফোনকলের রেকর্ড থেকে আমরা শুনেছি প্রতিটি গুলির পরে কী নিদারুণ আঁকুতির হেঁচকি টানছেন একরাম-তেমন আমরা দেখি গলাকাটা হাঁস মৃত্যুকে অস্বীকার করে ছুটে পালাতে চায়। আমরা দেখি কোরবানীতে জবাই হওয়া গোরুর মৃত্যুকে প্রতিরোধের প্রাণান্তকর চেষ্টাকে সামাল দিতে অন্তত হাফডজন তাগড়া জোয়ানের দরকার হয়। এইযে প্রাণের মৃত্যুকে অস্বীকার করে তাকে প্রতিরোধ করার সংগ্রাম-এই প্রবণতা এই বিশ্বের প্রতিটি প্রাণের ভেতর বিরাজমান। প্রাণের এই জীবনমুখীতার নাম ফ্রয়েড দিয়েছেন ‘ডেথ ইন্সটিংক্ট’। এই ডেথ ইন্সটিংক্ট সকল প্রাণের ভেতর সমানভাবে বিরাজমান-সে পশু হোক, কিংবা জীববৈচিত্র্যের একেবারে নিচের তলার সদস্য থেকে সর্বশক্তিমান মানুষ-সকলের ভেতর বেঁচে থাকার এক অদম্য প্রবণতা কাজ করে। এই প্রবণতার নাম ডেথ ইন্সটিংক্ট দেখে আপনারা ঘাবড়ে যেতে পারেন, বেঁচে থাকার এই প্রাণান্তকর চেষ্টার প্রবণতার নাম ডেথ ইন্সটিংক্ট হয় কী করে?
Report incorrect information