প্রাচীন যুগে প্যারেড ছিল সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অন্যতম একটি মাধ্যম। প্রাচীন মিশর, গ্রিস, এবং রোমান সাম্রাজ্যে সামরিক বাহিনীর শক্তি ও শৃঙ্খলা প্রদর্শনের জন্য প্যারেডকে ব্যবহার করা হতো। তবে আধুনিক যুগে প্যারেড শুধুমাত্র সামরিক পরিসরে সীমাবদ্ধ নয় বরং সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতেও প্যারেডের আয়োজন করা হয়।
প্যারেডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি শৃঙ্খলা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়ক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্যারেড শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, দলগত চেতনা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে শেখে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে, যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে সহায়ক হয়। তাছাড়া প্যারেড জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম এবং জাতীয় চেতনাবোধ সৃষ্টি করে। জাতীয় দিবসের প্যারেডগুলোতে অংশগ্রহণকারী এবং দর্শক উভয়েই দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং একাত্মতার অনুভূতি অর্জন করে। এটি জাতি গঠনে এবং সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্যারেড বা কুচকাওয়াজ আমাদের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি শুধু শৃঙ্খলা এবং ক্ষমতার প্রকাশ নয় বরং ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং দেশপ্রেমের প্রতীক। সমাজের সকল স্তরে প্যারেডের প্রচলন একতা, শক্তি এবং অভিন্নতার প্রতীক হিসেবে আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।
ক্রীড়ায় পরপর পাঁচবার নির্বাচিত দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ" হতে প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের "ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স" বিভাগ হতে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে একই বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তিনি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রত্যক্ষভাবে ক্রীড়াজগতের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। খো খো খেলায় তার ক্রীড়া দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টসহ পরপর দুটি "বাংলাদেশ গেমস" এ তিনি স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এস এ গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ক্যাম্পেইনের সুযোগ পান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের একজন সক্রিয় খেলোয়াড়। এছাড়াও বিভিন্ন গেমসে তার বেশ পারদর্শিতা রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি তিনটি প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া শিক্ষক ও ক্রীড়া প্রশিক্ষক হিসেবে সময় দিচ্ছেন। তার রচিত প্রথম বই খো খো খেলার আদ্যেপান্ত প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বর, ২০২১ এ। যা ক্রীড়া জগতে ব্যাপক সমাদৃত হয়। ওয়ার্ম আপ স্ট্রেচিং কুলডাউন তার রচিত দ্বিতীয় বই।