একটা সময় ছিল যখন বিজ্ঞানীরা ভাবতেন, ইউরেনিয়ামই পর্যায় সারণির সর্বশেষ সদস্য। কিন্তু না! দেড়শত বছরেরও বেশি সময়ের অপেক্ষা শেষে ১৯৪০ সালে খোঁজ মিলে নতুন দুই ভারী মৌলের। আর তাতেই বদলে যায় ইতিহাসের গতিপথ। ইউরেনিয়াম ও প্লটোনিয়ামের তৈরি দুটো পারমাণবিক বোমার আঘাতে চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটে রক্তক্ষয়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। এদের বিধ্বংসী ক্ষমতা পাকাপাকিভাবে বদলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। বিশ্বযুদ্ধের পরে গ্লেন সিবর্গ এবং আলবার্ট ঘিয়োরসোর হাত ধরে ভারী মৌল অন্বেষণ নতুন মাত্রা পায়। পার্টিক্যাল অ্যাক্সিলারেটর ব্যবহার করে এ বিজ্ঞানী যুগল একের পর এক খুঁজে বের করতে থাকেন নতুন ভারী মৌলদের। মৌল আবিষ্কারের নেশায় মগ্ন মার্কিনিরা ল্যাবরেটরির গণ্ডি ছাপিয়ে তখন পৌঁছে গিয়েছিলেন পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে উদ্ভূত ভয়ংকর মাশরুম ক্লাউডের গহিন পর্যন্ত! দীর্ঘ সময় ধরে হেভি এলিমেন্ট হান্টিংয়ে বজায় ছিল একচ্ছত্র মার্কিন আধিপত্যের। তবে দৃশ্যপটে সোভিয়েতরা প্রবেশ করতেই বদলে যায় সবকিছু। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরে সোভিয়েত বিজ্ঞানীরাও আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন ভারী মৌল অন্বেষণে। ফলে শীতল যুদ্ধের ছায়ায় পর্যায় সারণির প্রান্ত সীমাতেও দুই পরাশক্তির মাঝে শুরু হয় নতুন আরেক অঘোষিত যুদ্ধ, ট্রান্সফার্মিয়াম ওয়ার। চলুন জেনে আসা যাক, বিজ্ঞানের ইতিহাসের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোর নানান ঘটনাপ্রবাহ এবং ভারী মৌলিক পদার্থ আবিষ্কারের
জন্ম ৭ মে, ১৯৯২, ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। বাবা হোসাইন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা তাসলিমা বেগম গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ঢাকা কলেজে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। পরবর্তীতে রাশিয়ার রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি থেকে সম্পন্ন করেছেন রেডিয়েশন সেফটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন রাষ্ট্রয়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান), এর সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। কর্মসূত্রে বাস করছেন ঈশ্বরদীতে। তবে সুযোগ পেলেই চলে আসেন প্রাণের শহর ঢাকাতে। যেখানে কেটেছে জীবনের অধিকাংশ সময়। লেখকের ভালো লাগার অনেকটা জুড়েই রয়েছে বই পড়া, লেখালেখি করা এবং ফুটবল খেলা। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান নতুন নতুন জিনিস শিখতে এবং অন্যকে শোখাতে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতার। পাঠকের যে কোন পরামর্শ তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]লেখকের ভালো লাগার অনেকটা জুড়েই রয়েছে বই পড়া, লেখালেখি করা এবং ফুটবল খেলা। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান নতুন নতুন জিনিস শিখতে এবং অন্যকে শোখাতে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতার। পাঠকের যে কোন পরামর্শ তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]