যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ১৯৯১ সাল হতে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় বছর পড়ালেখা করেছি সেখানে আমার অসংখ্য স্মৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান দেখার জন্য আমি শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে উপস্থিত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া হতে গাজীপুর নিয়ে যাওয়ার কারণে হৃদয়ভাঙা স্মৃতি আমাকে আহত করেছিল। আবার বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজীপুর হতে কুষ্টিয়ায় ফিরিয়ে আনার জন্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের ত্যাগ আমাকে বিমোহিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ আমাকে কখনও কখনও আনন্দিত করেছে আবার কখনও কখনও করেছে বিষাদময়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একর ক্যাম্পাসের প্রতিটি কণায় লেগে আছে আমার স্মৃতির পদচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাছ থেকে আমি পেয়েছি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও স্নেহ। প্রথম ছাত্রী এবং অমুসলিম ছাত্রছাত্রী ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনন্য ঘটনা। যেটি বইয়ে স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুবান্ধব এবং ছোটোবড় ভাইবোনদের সহিত রয়েছে আমার ভিন্নমাত্রার স্মৃতি। যে স্মৃতির গাঁথুনি লিখিত আকারে বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের যেসকল বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তালিকা তুলে ধরেছি আমার লেখায়। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা- বইয়ে লিখতে ভুল করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পেয়েছি অসীম ভালোবাসা এবং তাদের সঙ্গে ছিল আমার পরম উষ্ণ সম্পর্ক। উনারা আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ না হলেও ছিলেন আত্মার পরম আত্মীয়। এই সমস্ত স্মৃতির গুচ্ছ আমাকে বইয়ের পাতায় স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য করেছে কোনো এক অজানা শক্তি।
মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহ্জাদপুর উপজেলার স্বরূপপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ নজিবর রহমান এবং মাতার নাম মোছাঃ আসমা খাতুন। তিনি পিতা-মাতার কনিষ্ঠ সন্তান। ২০১৭ সালে স্থানীয় বনগ্রাম ডাঃ রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয় (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন এবং ২০১৯ সালে শাহ্জাদপুর সরকারি কলেজ ( বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়ন বিভাগে অধ্যায়ন করছেন। তার রচিত যৌথ কাব্য গ্রন্থ "তুমি আসবে বলে, তুমি আমার দুঃখ সুখের সারাংশ, হৃদয়ের স্পন্দন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি এইউএসবি জ্ঞানালোক আইডিয়াল স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি পাথফাইন্ডার ল্যাব স্কুলের প্রাক্তন সহকারি শিক্ষক, "বাংলাদেশ ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড" (BCO) শাহ্জাদপুর উপজেলার কার্যনির্বাহী সদস্য, "কেয়া স্টুডেন্ট'স ফোরাম বাংলাদেশ" (KSFB) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য এবং "বাংলাদেশ ম্যানগ্রোভ সোসাইটি" (BMS) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।