Category:মুক্তিযুদ্ধ: নারী মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
একটা বইয়ের পিছনে থাকে অনেক গল্প, কখনো অল্প অল্প করে জমা হওয়া অনেক স্বপ্ন। সব বইয়ের মাঝে ‘একাত্তর ও নারী’ আমার একটা প্রিয় কাজ।
২০০৯ সাল থেকে লেখালেখি শুরু, ২০১০ সালের জুলাই মাসে ‘জুলাই মাসের বিশেষ দিনগুলি’ শিরোনামে একটা লেখা লিখে দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকায় পাঠাই। লেখাটি জুলাইয়ের ২/১ তারিখে প্রকাশিত হয়। শুরু হয় এমন লেখা। প্রতিমাসের প্রথমেই এমনি লেখাটি প্রকাশ হতে শুরু করে কয়েকটা পত্রিকায়। মূলত মাসের দিবসগুলোকে প্রথমেই মনে করিয়ে দেওয়া এই লেখার মাঝে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এই বিষয়ে ১২ মাসে নতুন ১২টি লেখা (প্রবন্ধ আকারে) প্রকাশিত হয় ইসলামী ফাউন্ডেশন-এর ‘অগ্রপথিক’ পত্রিকায়। ২০১৪ সালে একই পত্রিকায় ১২ মাসে প্রকাশিত হয় বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে ১২টি লেখা। একই সাথে কাজ চলতে থাকে আমার মুক্তিযুদ্ধ ও নারীদের নিয়ে পড়া।
২০১৪ সালে ছোট করে ১৬টি লেখা লিখি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটা দৈনিক পত্রিকায় দেখাই। উনারা প্রকাশ করতে আগ্রহী হন। ডিসেম্বর ২০১৪ প্রকাশও শুরু হলো। ১/২ ডিসেম্বর তারিখ প্রকাশের পর বিভাগীয় সম্পাদক দেশের বাইরে যান কাজে। দায়িত্ব দিয়ে যান দেশের স্বনামধন্য এক লেখককে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। মানে কিছুদিনের জন্য সেই পাতার দায়িত্ব পান উনি। ৩ ডিসেম্বর লেখাটা প্রকাশ পায়, কিন্তু ৪-১৬ ডিসেম্বর আর লেখাটি প্রকাশ পায় না। আমি অফিসে কল করি, দায়িত্ব পাওয়া বিশেষ ব্যক্তি নেই। পরের দিন আবার যোগাযোগ করি, তিনি জানান,
“কে আপনি যে আপনার লেখা প্রতিদিন ছাপাতে হবে আমাদের।”
আমি হতভম্ব হই। আমি জানি উনি মাত্র কয়েকদিনের জন্যেই দায়িত্বে। যাক, আমি থেমে না থেকে লেখাগুলো নিয়ে আরো ভাবতে থাকি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবরের দিকে নতুনরূপে লেখাগুলো সাজাই শিরোনাম দিই ‘একাত্তর ও নারী’। মোট ১৬টি লেখা, যা প্রকাশ করতে হবে ডিসেম্বর ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম শ্রেণির দুইটা পত্রিকায় দেখাই, এক পত্রিকা জানান, ‘সাক্ষাৎকারভিত্তিক হলে ছাপাতেন।’ অন্য পত্রিকা জানান, ‘বাইরের লেখকদের লেখা লাগাতার ছাপান না উনারা।’ এরপরে দৈনিক সংবাদে কথা বলি। নমুনা হিসেবে দুটি লেখা দেখাই। উনারা পছন্দ করেন এবং ছাপাবেন বলেন। ২০১০ সাল থেকেই আমি দৈনিক সংবাদের সম্পাদকীয় মুক্ত আলোচনা বিভাগে কলাম লিখছি। আমি আসলে যা লিখি পত্রিকার জন্যেই লিখি, পত্রিকায় প্রকাশের জন্যেই লিখি। ২০১৫ সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর দৈনিক সংবাদের ৭নং পেইজের কর্নারটা আমার হয়ে যায়। এ যে কত আনন্দের তা প্রকাশ করার মতো নয়।
Report incorrect information