যুক্তরাষ্ট্র কী করে পরাশক্তি হয়ে উঠল? দেশটির পরাশক্তি হওয়া কি অবধারিত ছিল?
চীনের প্রভাব কেন এত দ্রুত বাড়ছে? কেন শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলছে বেইজিং?
ইউরোপ কি আদৌ কখনও সত্যিকার অর্থে ঐক্যবদ্ধ হবে?
মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্তের অর্থ কী ছিল?
আফ্রিকা মহাদেশের উন্নতিতে জলপ্রপাতগুলোর ভূমিকা কী?
মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে কী সংঘাত ক্রমশ দানা বাঁধছে?
আর্কটিক অঞ্চলের গ্রিনল্যান্ড নিয়ে কেন বড় দেশগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি? এত সব ‘কেন’-এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ভূগোলের মধ্যে। বিশ্বের চলমান ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে আমরা চোখ রাখি রাজনীতি, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক চুক্তির দিকে। কিন্তু ভূগোলকে বাদ দিয়ে কখনোই সম্পূর্ণ চিত্রটা বুঝতে পারব না। কারণ, বিশ্বনেতাদের প্রায় সব বড়ো সিদ্ধান্তের পেছনেই অনুঘটক হিসেবে কাজ করে ভূগোল। প্রযুক্তি যতই উৎকর্ষ লাভ করুক, আজও রাজনীতির গতিপথ ঠিক করে দেয় ভূগোল। বিশ্বরাজনীতি মানেই ভূরাজনীতি। সব দেশের সরকার ও নেতাদের হাত-পা আজও বাঁধা ভূগোলে। পাহাড়-পর্বত, সমভূমি, নদী, সাগর, মরুভূমি তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ সীমিত করে দেয়। তাই ভূরাজনীতি না বুঝলে পৃথিবীর নানা প্রান্তে কোন ঘটনা কী কারণে ঘটে, ভবিষ্যতে কোথায় কী ঘটতে পারে—এসব বোঝা অসম্ভব। রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত-পাকিস্তান, জাপান-কোরিয়া, আর্কটিক ও গ্রিনল্যান্ড—এই দশটি অধ্যায়ে প্রাণবন্ত বর্ণনায় টিম মার্শাল দেখিয়েছেন, কীভাবে ভূগোল অতীতে বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে, এখনও করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।