রেহমান লম্বা করে একটা নিশ্বাস নেয়। শেষবারের মতো মেঝেতে পড়ে থাকা জেসিকার নিথর দেহটার দিকে তাকায়। পরনের স্কার্ট হাঁটুর ওপর পর্যন্ত উঠে আছে। মুখটা হা করা, রেশমের মতো চুলগুলো গালে লেপটে আছে। চোখ দুটো বিস্ময়ে বিস্ফারিত। যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারেনি ও মারা যাচ্ছে। মেয়েটার বয়স সতেরো বছর হলেও শরীরটা বাড়ন্ত।
পুরো নাম রেহমান সিদ্দিকী, বয়স চুয়ান্ন, পেশা প্যাথলজিস্ট। একটা রেপ এন্ড মার্ডার কেসের আসামি। ফাঁসির আদেশ হয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কনডেমড সেলে এখন বন্দী।
এদিকে সারিতা জামান নামে একজন সাইকোলজিস্ট 'sexual predator'দের নিয়ে গবেষণার উদ্দেশে রেহমান সিদ্দিকীর সাক্ষাৎকার নিতে যান। আর তখুনি শুরু হয় রহস্যময়, জটিল একটা গল্পের।
একটা অনিবার্য খুন
সন্ধ্যেবেলা শহরের একটা ঘিঞ্জি আবাসিক এলাকার গলি রাস্তার মুখে মেরুন রঙের ওপর সাদা স্ট্রাইপ দেওয়া পোলো শার্ট পরা যে লোকটাকে হেলেদুলে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে সেই লোকটা আজ রাতে খুন হবে। বয়স কত হবে? বায়ান্ন কি তেপান্ন। চুলগুলো কুচকুচে কালো। ক'দিন আগেই নিউ দিলীপ হেয়ার কাটিং সেলুন থেকে কালার করেছে। সাথে সরু করে ছাঁটা গোঁফটাও। চুলগুলো ছোট করে ছাঁটা। গায়ের রঙ ফর্সা না বলে উজ্জ্বল শ্যামলা বলা যেতে পারে। সুঠামদেহী। জিন্সের সাথে মেরুন-সাদা স্ট্রাইপের পোলো শার্টে দারুণ মানিয়েছে।
সত্যি সত্যি সেদিন রাতে লোকটা খুন হয়। খুনের তদন্তে ডাক পড়ে মেধাবী পুলিশ অফিসার রাহাতের। তদন্ত যতই এগোয় সাদামাটা মার্ডার কেসটা ততটাই জটিল গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেতে থাকে। পুরোটা জানতে হলে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তেই হবে।
সার্টিফিকেটের নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হলেও সুবাস নামেই বন্ধুদের কাছে বেশি পরিচিত। লেখকের শৈশব কেটেছে সবুজ শোভিত গাজীপুরের শিমুলতলীতে। ছোটবেলা থেকেই গল্প, উপন্যাসের প্রতি তার তীব্র আগ্রহ যা আজো সমভাবে বিদ্যমান। তবে কাগজ কলম নিয়ে বসা হবে তিনি ভাবেননি কখনো। করোনার মরণ ছোবল থেকে বাঁচতে এর কার্যকরী ঔষধ এবং ভ্যাকসিন নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে চলছে উৎকণ্ঠা, তখন একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে অবগত করানোর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশের বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় কলাম লেখার মধ্য দিয়েই লেখকের লেখালেখির যাত্রা শুরু। বিশ্লেষণধর্মী এই লেখার পাশাপাশি কিছু কাছের মানুষের উৎসাহে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে গল্প লেখা। অনলাইন পাঠকের ব্যাপক উৎসাহে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০ টার মতো গল্প ইতিমধ্যে লেখা হয়েছে। এই পাঠকদের অফুরন্ত ভালোবাসায় এবং অনুপ্রেরণায় ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত "যাদুকর চিত্রকর" বইটি লেখকের প্রকাশিত প্রথম বই। উল্লেখ্য লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন জীবনরক্ষকারী ঔষধ নিয়েই কাজ করছেন।