ইতিহাসের কিংবদন্তি ভ্রমণকারী ইবনে বতুতার রিহলা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের বিস্ময়কর কাহিনির এক অমূল্য দলিল। বিশেষ করে কেউ বেড়াতে গেলে সে যা যা দেখে তাই লিখে ফেলে। ভ্রমণের বই হিসেবে সেটাতে এক ধরণের টেস্ট পাওয়া যায়। তবে ইবনে বতুতার ভ্রমণের বই বিখ্যাত হবার অন্যতম একটি কারণ হলো তিনি যে দেশে গিয়েছেন সে দেশে বসবাস করেছেন। ভারতবর্ষে তিনি তৎকালীন সুলতানের অধীনে কাজীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চীন চলে যান। ১১ বছর ভারতবর্ষে ছিলেন। তারই পথ ধরে লেখা হয়েছে ‘রিহলা: প্রকৃতির টানে প্রকৃতির পানে’, যেখানে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেয়েছে নতুন এক ব্যাখ্যা। লিটু আনামের লেখা ভ্রমণ বিষয়ক ‘রিহলা: প্রকৃতির টানে প্রকৃতির পানে’ বইটি ভালো লাগবে, কারণ লিটু আনাম দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। ভ্রমণ করেছেন বিভিন্ন প্রদেশ এবং আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। একেবারে ধরে ধরে তিনি বর্ণনা করেছেন।
আধুনিক সভ্যতার বিশালত্ব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ, এবং সংস্কৃতির বৈচিত্র্েযর সমন্বয় নিয়ে রচিত এই ভ্রমণ কাহিনি পাঠকদের এক ভিন্ন আমেরিকা দেখাবে।
নিউইয়র্কের ঝলমলে আলোকিত রাত্রি।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মুগ্ধতা।
আমেরিকার গ্রামীন জীবনের সাদামাটা চার্ম।
ইতিহাসের স্মৃতিসৌধ এবং আধুনিক স্থাপত্যের অপরূপতা।
রিহলা শুধু একটি ভ্রমণ কাহিনি নয়; এটি ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষের ভেতরের পরিবর্তন, উপলব্ধি, এবং বিশ্বকে নতুন চোখে দেখার এক অনন্য প্রয়াস। প্রতিটি অধ্যায়ে পাঠক অনুভব করবেন কেমনভাবে ভ্রমণ মানুষকে তার শেকড় থেকে মুক্ত করে এক মহাবিশ্বের অংশ করে তোলে।
জন্ম ২ জুন ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ, ফরিদপুর জেলার বিলমামুদপুর গ্রামে নানা বাড়ি। ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি ইয়াসিন কলেজ, ফরিদপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে তরুন উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে তার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। পেশায় ব্যাবসায়ী হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকেই সাহিত্য চর্চা শুরু। নিউইয়র্কে লায়ন্স ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।