Get eBook Version
TK. 113আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
‘শেষ বিকেলের রোদ’ পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করতে গিয়ে চোখে পড়ল— ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ গল্প লিখেছিলাম; অর্থাৎ পুরো ২০২৪ সাল আমি গল্প লেখার বাইরে ছিলাম! জানি না ঠিক কী কারণে এত ‘গ্যাপ’ হলো আমার! শেষ ছোটগল্পের বইটাও প্রকাশ হয়েছিল ২০২৩ সালে, কালপ্রকাশ থেকে ‘মেঘে ঢাকা চাঁদ’। সত্যি বলতে, এ বছর ছোটগল্পের বই প্রকাশ না করে থাকা সম্ভব হলো না আর।
ছোটগল্প লেখার প্রতি আমার আলাদা একটা আগ্রহ আছে। গল্পে আমার মতো করে ভাবতে থাকি— সমাজবিচরণের নানান দিক নিয়ে। ‘শেষ বিকেলের রোদ’-এ জায়গা পাওয়া গল্পগুলোতে প্রেম-বিরহের উপাখ্যান যদিও বেশি উঠে এসেছে, তবুও কয়েকটি গল্পের মধ্যে জীবনবোধের রোজনামচা উঠে এসেছে। যেমন— বিয়ের শাড়ি, ব্ল্যাকার : ভাড়ায় চালিত মানুষ, ফুলওয়ালী, দারোয়ান গল্পে জীবনবোধের কঠিন বাস্তবতার প্রতিফলন দেখানোর চেষ্টা করেছি।
প্রেম-বিরহ আমাদের জীবনেরই অংশ। প্রেমে ব্যর্থতা, না পাওয়ার তীব্র ব্যথা ও দুঃখবোধ আমাদেরকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলে। জীবন সম্পর্কে আমাদের শেখায়— কীভাবে সংগ্রাম করে বাঁচতে হবে। বাকি গল্পগুলোতে সে-রকম বিষয়ই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আমার গল্পের নিয়মিত পাঠক মাত্রই আমার গল্পের ধাচ বুঝে উঠতে পারবে। বিশ্বাস রাখি— সুচিন্তিত পাঠকের ভাবনার আকাশে নানান প্রশ্নের উদয় হবে। সমাধানও মিলবে শেষাংশে। সবমিলিয়ে এই প্রত্যাশা রাখি— ‘শেষ বিকেলের রোদ’ জায়গা করে নিক প্রিয় পাঠকের পড়ার টেবিল। সে পর্যন্ত সকলের মঙ্গল কামনায়...
- মোহাম্মদ অংকন
কবি ও সাহিত্যিক
Report incorrect information