Category:বয়স যখন ১২-১৭: ভৌতিক
প্রসিদ্ধ লেখক রেভারেন্ড মন্টেও সামারের মতে ড্রাকুলার সৃষ্টি হয় সে সব আত্মার দ্বারা, যারা জীবিত অবস্থায় স্বার্থপর, লোভী ও ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে জীবনযাত্রা পরিচালনা করে। মৃত্যুর পর তাদের সেই অভিশপ্ত আত্মারা জীবিতকালের অত্যাচার ও অনাচারের কথা ভুলতে পারে না। তারা মানুষের রূপ ধরে জীবিত প্রাণীর রক্ত পান করেনিজেদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে। নিজেদের দল ভারী করে।
ট্রানসিলভেনিয়ার অলৌকিক পরিবেশ! মধ্যরাতে হাড় হিম করা নেকড়ের চিৎকার! চাঁদের আলোতে উদ্ভাসিত মোহিনী মায়াবী কার্পেথিয়ান ক্যাসল অর্থাৎ কাউন্ট ড্রাকুলার বিরাট প্রাসাদ! কুহকিনী রমনীর ঠোঁটে কামনা মদির রক্তের আলপনা! এক ভয়াল ভয়ংকর অপার্থিব শিহরণ!
বিশ্বের ‘হরর’ সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক ব্রাম স্টোকারের অমূল্য লেখনীতে উন্মোচিত হয়েছে এক আশ্চর্য কাহিনি যা প্রতিটি মুহূর্তে পাঠক-পাঠিকাকে পৌঁছে দেবে ভীতি-বিহ্বলতার রাজ্যে। ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’ বইটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে ‘হরর’ সাহিত্যের অঙ্গনকে আলোকিত করেছে।
আমার অনুবাদিত ড্রাকুলা সংকলনটি ছোটো-বড়ো সকলের ভালো লাগলে শ্রম সার্থক জ্ঞান করব। পরিশেষে ‘হরর’ কাহিনির প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
Report incorrect information