সময় পালটাচ্ছে। নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে আমাদের একঘেয়ে সনাতন মন-মানসিকতা। খসে পড়ছে দীর্ঘদিনের নীতি ও নৈতিকতার কালো চাদরে ঢাকা মলিন আবরণগুলো। ভেঙে পড়ছে শতাব্দীর ঘুণে ধরা সমাজের প্রাচীন সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধের অচলায়তন। প্রাণি জগতের বৈচিত্রতায় মানুষ এক আশ্চর্য সৃষ্টি। রহস্যময় আমাদের এই প্রকৃতির অংশ মানুষের শারীরিক ও মানসিক ভিন্নতা আমরা রহস্য দেখতে পাই। অন্য প্রাণিদের মতোই দীর্ঘদিনের বিবর্তনীয় পথ পাড়ি দিতে গিয়ে টিকে থাকার সংগ্রামে মানুষকে সমাজের সাথে অবিরতভাবে যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে।

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান কিংবা নিরাপত্তার পাশাপাশি জৈবিক তাড়না বা যৌনতা পৃথিবীতে টিকে থাকার অনন্য শক্তি। এই যৌনতার বৈচিত্রতায় ঘেরা মানুষের জীবন। সেই জীবন যাপনের বিভিন্ন সত্যি গল্পের চরিত্রের মাধ্যমে এই বইয়ে লেখা হয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বে হোমারের সেই সাহিত্য ইলিয়াড শুরু হয়েছিল একটি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে, আর সেই যুদ্ধ হয়েছিল এক নারীকে অপহরণের কারণে-সেই হেলেন অব ট্রয়।

সংস্কৃতিতে আমরা যে রামায়নের কাহিনি জানি, রাম রাবণের যুদ্ধ হয়েছিল সীতাকে অপহরণের জন্য। নারী পুরুষের কামই একমাত্র প্রাকৃতিক ও বৈচিত্র্যময় এবং যার মূল লক্ষ্য বংশবৃদ্ধি করা।

এই গল্পকথনে স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক রোমান্টিক প্রেমের গ্রন্থিত হয়েছে। এই গল্পগুলো মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে বিচরণ করা ভালোবাসার উত্তর যা আদি ও অনন্ত।