Category:সমকালীন উপন্যাস
২০০ টাকার বুকমার্ক সেট ফ্রি! বিভূতি-ভিন্টেজ উপন্যাস সমগ্র কিনলেই
১৯৯৭ সালে প্রেমাটয়া উপন্যাসটি প্রকাশের পরপরই বইটি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় আলোচনা হয়। আরই ধারাবাহিকতায় বইটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বইটি নিয়ে আলোচনার হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা যায় প্রতান্ত অঞ্চলের অন্তবায় বা এঁতি শ্রেণিকে নিয়ে লেখা এটাই প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসের পটভূমি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একটি গ্রাম সেই গ্রামের রূপক নাম প্রেমাটিয়া। সেই গ্রামের তাঁত ও তাঁতি জীবনের দুঃখ-কষ্ট, আশা-নিরাশা, অকালা-ক্ষোভ, আনন্দ-বেদনা, দ্রোহ-বিদ্রোহ, প্রেম-পরিনয়, লেবাজধারী বে-শরা ভন্ড প্রকৃতির নেশাখোর বাউলদের অনৈতিক জীবনাচার ইত্যাদি নানা অনুষদ তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসটিতে। বাংলা সাহিত্যে তাঁতশিল্পের উপাখ্যান খুঁজে পাওয়া বড়োই দুষ্কর- এটাই স্বাভাবিক। ঔপন্যাসিক তাঁত অধ্যুষিত প্রেমাটিয়া গ্রামের বাস্তব নির্যাস থেকে কুসংস্করাচ্ছন্ন তাঁতি জনগোষ্ঠীর একটি ভিন্ন চিত্রতুলে ধরেছেন পরম মমতায়। ভাষা-ভঙ্গিও কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষের চলতি সংস্কৃতি।
সাম্প্রতিক এবং আগামীর কথাসাহিত্য জগতে প্রেমাটিয়া একটি সামাজিক আন্দোলন আর গ্রন্থাকার মানব অস্তিত্বের নান্দনিক ভাষ্যকার। প্রেমাটিয়া'র স্বোপার্জ্জিত শব্দ ও নন্দনলোকের বরপুত্র এই কথাসাহিত্যিক মোমাটিয়া'র মধ্য দিয়ে সমকালীন কথাসাহিত্যের এক তাৎপর্যপূর্ণ কারুকৃৎ।
প্রেমাটিয়া গ্রামের তাতি ছদ্দিনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে উপন্যাসের কাহিনি। বে-শরা এই ভন্ড প্রথম যৌবনে বিয়ে করে প্রেম করে। পিরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে সে দ্বিতীয় বার বিয়ে করে। পিরের মতো সেও পির হওয়ার বাসনায় পিরের কথা মতো মোক্ষ লাভের আশায় কুমারী মেয়েকে বিয়ের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর খালাতো বোনকে ফুসলিয়ে বাড়িতে আনে। চলে বিয়ের প্রস্তুতি। ছদ্দিন কী পারবে রূপকুমারী কন্যাটিকে বিয়ে করতে? জানতে হলে পড়ুন প্রেমাটিয়া উপন্যাসটি।
Report incorrect information