Category:নানাদেশ ও ভ্রমণ
দেশের ভিতরে এবং দেশে দেশে ভ্রমণ মানুষের সহজাত। লেখক সরকারি চাকুরে ছিলেন আর কাজের সূত্রেই ঘুরেছেন দেশে ও বিদেশে। দেশ ভ্রমণে ও স্থানীয় সংস্কৃতিতে আগ্রহের কারণে এই সুযোগে দেখে নিয়েছেন সে সকল দেশের মানুষ ও তার সমাজ।
লেখকের প্রথম বই, তাই প্রথম দিকের বিদেশভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলোই বেশি স্থান পেয়েছে। ১৯৯৭ সালের নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ দিয়ে শুরু করে শেষ হয়েছে ২০০১ সালের মিয়ানমার ভ্রমণে। শব্দে শব্দে গেঁথেছেন পড়শি তিন দেশ, নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম-ফ্রান্সকে কিছুটা কৌত‚হলী দৃষ্টিতে দেখার অভিজ্ঞতা। আর বেশি দিন অবস্থানের কারণে সুইডেন এবং জর্ডান ভ্রমণের বিবরণ এসেছে কিছুটা বিস্তারিতভাবে। এই সাথে একদা আমাদের ঔপনিবেশিক শাসকের দেশ, ইংল্যান্ডকে কাছে থেকে দেখা। জর্ডান ভ্রমণের সঙ্গে প্যালেস্টাইন ভ্রমণের বিরল সুযোগ ঘটে জাতিসংঘ দলের সদস্য হবার সুবাদে। দেখা হয়েছে সভ্যতার পীঠস্থান পিরামিডের শহর কায়রো। চীন সফরের আকর্ষণীয় অনুসঙ্গ ছিলো একই সঙ্গে হংকং ঘুরে আসা ও থাইল্যান্ডের ফুকেটের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ। পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়া সফর চারসপ্তাহের হলেও ঘুরাফেরার সুযোগ ছিলো কম আর মিয়ানমারের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলো শেষ মুঘল স¤্রাটের সমাধি দর্শন।
এটি জালাল আহমেদের প্রথম বই হলেও ভ্রমণের প্রতিটি পর্বই জীবন্ত হয়ে উঠেছে বর্ণনার গুণে। পাঠক আনন্দের সঙ্গেই লেখকের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন ২৫ বছর আগের ইউরোপ-এশিয়া-ওশেনিয়া থেকে।
Report incorrect information