আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
‘একুশ-নামে গাইছি গান/শোনো সকলে/
বাংলা আর বন্দী নয়/লোহার শিকলে’
নবীন কবি মেহেদী মোহাম্মাদ-এর এই শব্দ কটির মধ্যেই তার কাব্যচেতনার পরিচয় প্রতিভাত হয়। যাপমান জীবনের বাস্তব পরিমণ্ডলই এই কবির কাব্যাবেগ ও ভাব-কল্পনার উৎসস্থল। ফলে তার কাব্যভাষা, শব্দচিত্র, বিষয়-ভাবনা এবং শিল্পরসদ সবই আটপৌরে সমাজ জীবনের নিরেট প্রতিচিত্র হয়ে ওঠে। তাঁর কবিতা প্রতিপার্শ্বের প্রত্যক্ষণজাত উপলব্ধি ও অভিব্যক্তির সরল বয়ান হিসেবে উৎকলিত হয়। অর্থাৎ তার কাব্যকাঠামোর ভেতরে প্রতীকী ভাবব্যঞ্জনার আড়ালচারিতা অনুপস্থিত। অন্যকথায় তার কবিতায় মূর্ত দৃশ্যকে বিমূর্ত বোধিভাষ্যে অনুবাদ করার কৃতকৌশল অচর্চিত রয়ে যায়। তবে কবি আবেগ ও অভিজ্ঞতার স্বাজ্ঞিক সংমিশ্রণের মাধ্যমে বোধিকর্ষণের অনুশীলন অব্যাহত রাখলে তাঁর কল্পনা আরও ঘনীভূত ও সমাহিত হবে এবং তাঁর কবিতার কলামানও আরও নান্দনিক ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে ব’লে আশা করা যায়। কারণ তার ভাবনা ও ভাষা থেকে একথা মোটামুটি জোর দিয়েই বলা যায় যে--মেহেদী মোহাম্মাদের মন ও মানসদেশে সহজাত কবিত্বশক্তির উপস্থিতি স্পষ্ট। --খৈয়াম কাদের
Report incorrect information