"পশ্চিমবঙ্গের প্রজাপতি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: প্রজাপতি আমাদের বিস্মিত করে। কিন্তু আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হল, আমরা কদাচ প্রজাপতিকে খুঁটিয়ে লক্ষ করি। কখনও তাদের নাম জানতে চাই না, এদের কোনও নাম থাকতে পারে সেই বােধটাই জাগে না আমাদের মনে। আমরা খুঁজি না কোনও প্রজাপতি তার শৈশব দশায় অর্থাৎ শুককীট অবস্থায় কোথায় থাকে। কী খায় এরা? বাঁচে কতদিন? রাতে কোথায় ঘুমায়? কীভাবে আত্মরক্ষা করে ? কত রকমের প্রজাপতি আছে পৃথিবীতে? বা এই রাজ্যে ? সারা বছরই কি সমান সংখ্যায় দেখা যায় এদের ? এসব প্রশ্ন ছােটদের মনে হয়তাে জাগে, কিন্তু বড়রা কদাচ তার উত্তর জোগান। ছােটরা বড় হতে হতে প্রশ্নগুলাে বিবর্ণ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের হাতে বাংলায় এমন কোনও বই ছিল না, যা তাঁদের সামনে প্রজাপতির রঙিন জগতের একটা সুস্পষ্ট ছবি এনে দেবে। ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রজাপতি’ বাংলায় লেখা প্রথম বই যা প্রজাপতিদের চেনা ও জানার কাজে। সাহায্য করবে। পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায় এমন ১২০টিরও বেশি প্রজাতির রঙিন ছবি এবং তাদের বিবরণ এই বইতে আছে। লেখক এই প্রজাপতিদের বাংলা নামকরণও করেছেন। প্রজাপতিগুলির বেশিরভাগই বাংলার গ্রাম-মফস্সলে এমনকী শহরের আনাচেকানাচে ঘুরতে ফিরতে দেখতে পাওয়া সম্ভব। কয়েকটি এ রাজ্যের বনাঞ্চলের বাসিন্দা বিভিন্ন প্রজাতির ডানার নকশা ও তার স্বভাবের বিস্তারিত বর্ণনার সঙ্গে এ বইতে আছে তাদের ডিম, শূককীট ও মূককীটের বর্ণনা, শূককীটের আহার্য-উদ্ভিদের পরিচিতি এবং ভারত ও ভারতের বাইরে তাদের বাসভূমির পরিধির আন্দাজ। বইটি প্রজাপতি সম্পর্কে আগ্রহী যে-কোনও সাধারণ মানুষের কাছে এক রঙিন আনন্দের আমন্ত্রণ।
যুধাজিৎ দাশগুপ্তর জন্ম ১৯৬২। মিনতি ও জ্যোতিষচন্দ্রের কনিষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা যথাক্রমে মূলাজোড় সীতানাথ পাঠশালা, শ্যামনগর কান্তিচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, মহাদেবানন্দ মহাবিদ্যালয় ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। বিজ্ঞানের স্নাতক। ১৯৮৫ সাল থেকে দেশ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মী। বিজ্ঞান ও নানা বিষয়ে লেখা তাঁর নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য টেলিগ্রাফ, দেশ, আনন্দমেলা, কিশোর জ্ঞানবিজ্ঞান, যারা পরিযায়ী সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণে আগ্রহী। ভ্রমণে উৎসাহী। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ শিবিরে ছোটদের সঙ্গে বনেপ্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো তাঁর অন্যতম প্রিয় বিনোদন। প্রকৃতির নানা রূপ ক্যামেরা বন্দি করে স্লাইডের মাধ্যমে ছোটদের দেখাতে ভালবাসেন।