Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: জীবনী, চিঠিপত্র, ডায়েরি, স্মৃতিচারণ ও সাক্ষাৎকার
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
"রবিজীবনী ২য় (১২৮৫-১২৯১)" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
একজন অমৃতপুত্রকে আমরা তখনই আবার সহজভাবে তাঁর মর্ত্যরূপে ভাবতে পারি, যখন সময়ের ব্যবধানে অনেক অবান্তর সঞ্চয় ঝরে পড়ে, আবার সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হবারও বাধা থাকে না। রবীন্দ্রনাথকে তাই অপেক্ষা করতে হবে, হয়তাে দীর্ঘকাল—অন্তত যতদিন-না ‘রবীন্দ্রজীবনী’ পরিবর্ধিত হবার পরেও নতুনতর তথ্য নিয়ে অনুরূপ গ্ৰন্থ আরও বেরােয়।”—চল্লিশ বছর আগে সেই-যে লিখেছিলেন বুদ্ধদেব বসু, সেই অপেক্ষারই যেন যােগ্য অবসান ঘটালেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর ‘রবিজীবনী গ্রন্থে। নতুনতর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, নবতর তথ্যের মিশেল ঘটিয়ে, যুক্তিসিদ্ধভাবে যাবতীয় তথ্যকে যাচাই । করে, একটির-পর-একটি খণ্ডে তিনি তুলে ধরে। চলেছেন এ-যাবৎ অনাবিষ্কৃত এক মর্ত্যরূপী রবীন্দ্রনাথকে। উচ্ছাসের বাষ্পে অস্পষ্ট নয় সেই মুর্তি, কবিকৃত ভাষ্যে খণ্ডিত নয় তার স্বরূপ। কবিকেও যে জীবনচরিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব,সেকথা জানাতেই প্রশান্তকুমার পালের ‘রবিজীবনী। ‘রবিজীবনী’র দ্বিতীয় খণ্ড ১২৮৫ থেকে ১২৯১ (১৮৭৮-১৮৮৫) পর্যন্ত রবীন্দ্রজীবনের সাতটি বছরের অনুপুঙ্খ বিবরণ । তিনি আই. সি. এস. পরীক্ষা দেবার ঘােষিত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথমবার বিলাত-যাত্রা করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কিন্তু যে মূর্তিকারের হাতে বাংলাদেশের মাটি দিয়ে তাঁর চেহারার আদল গড়ে উঠেছিল, বিলাতে পৌঁছে তাতে আরম্ভ হল ‘বিদিশি কারিগরি'। প্রচলিত প্রথা ও সংস্কারের বিপরীতে চলার শুরু তখন থেকেই। য়ুরােপ-যাত্রী কোন বঙ্গীয় যুবকের পত্র’ জ্যেষ্ঠাগজ দ্বিজেন্দ্রনাথের সঙ্গে তর্কে-বিতর্কে মুখর হয়ে উঠেছিল, বর্তমান পর্বে। তার শেষ হয়েছে সাহিত্যাগ্রজ বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে ‘সত্যের সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক-বিরােধিতার উত্তেজনায় । অন্যের দ্বারা নিরূপিত ‘সত্য’কে তিনি গ্রহণ করবেন না, নিজের বিচারবুদ্ধি-অনুভবে তাকে উদ্বোধিত করে নেবেন নিজের ও সকলের মধ্যে—তাঁর জীবনব্যাপী সাধনার তখনই সূত্রপাত। এরই মধ্যে তিনি প্রথাগত রাগরাগিণীকে ভাব প্রকাশের কাজে লাগিয়েছেন, কবিতায় প্রবর্তিত করেছেন হৃদয়ের ছন্দ নতুন বউঠান। কাদম্বরী দেবীর রুচির আনুগত্য করতে গিয়ে যেটুকু বন্ধন মেনে চলতে হত, তাঁর বেদনাদায়ক আত্মহনন সেই শৃঙ্খল থেকেও মুক্তি দিয়েছে রবীন্দ্রনাথকে—কৈশােরের ‘হৃদয়ারণ্য থেকে উত্তরণ ঘটেছে যৌবনের রাজপথে।
Report incorrect information