Category:সমকালীন উপন্যাস
বানার্ড শ বলেছেন, পৃথিবী আসলে একটা নরক, প্রাণীরা এখানে এসেছে অন্য কোনো গ্রহ থেকে। এটা একটা রাশিয়ান কৌতুক। তবে এর ভেতরে চিন্তার খোরাক আছে। যেমন চিন্তার খোরাক আছে ‘যে ছিল অন্তরালে’ উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে। এখানে দিলশাদ, আশরাফ, নুরু মিয়া, ছমিরন বুড়ি, টিয়া, খায়রুল, সুমাইরা, কিংবা শেখ পঁচিশ আবদুল প্রমুখ চরিত্রের প্রহেলিকাময় জীবন এবং পৈশাচিক কার্যকলাপ কখনো আপনার শরীরের পশম খাঁড়া করে দেবে, কখনো আবার রাগে, ঘৃণায় রিরি করে উঠে আপনি ভাববেন, যা কিছু ঘটছে এ বইয়ের পাতায়, তা অসুস্থ কোনো জগতের আলামত, খোদ নরকের অধিপতির কারসাজি; সে যেন ছিনিমিনি খেলছে এই উপন্যাসের চরিত্রদের নিয়ে।
তারপর সবগুলো চরিত্রের সাথে যখন একাত্ম হয়ে উঠবেন, তখন নিজেই চমকে উঠে টের পাবেন, বুকের মাঝে কোথায় যেন গভীর একটা ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে আপনার, জীবনটাকে ফাঁকা আর অর্থহীন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও বেঁচে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন আপনি, গভীর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ভাববেন, প্রতিশোধ... তীব্র একটা প্রতিশোধ নিতে হবে আপনাকে!
প্রিয় পাঠক, আমাদের প্রহেলিকাময় জগতে আপনি স্বাগত।
Report incorrect information