‘ডেইলি আমল সিরিজ’-এর তিনটি বই— ‘ডেইলি কুরআন,’ ‘ডেইলি সুন্নাহ,’ এবং ‘ডেইলি ফিকহ’—মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনধারাকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আলোকিত করতে এবং সঠিক পথে পরিচালিত হতে সাহায্য করবে।
‘ডেইলি কুরআন’ বইটিতে কুরআনের নির্দেশনা ও বিধি-বিধানগুলোকে সংক্ষিপ্ত অথচ সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে। হালাল-হারাম, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং কুরআনের সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যা পাঠককে কুরআনের আলোকে সঠিক পথ অনুসরণে এবং দৈনন্দিন জীবনে কুরআনের নিদের্শনা মানতে উদ্বুদ্ধ করবে।
‘ডেইলি সুন্নাহ’ বইটি নবীজির জীবনধারা ও আচরণের অনুসরণীয় সুন্নাহগুলোর আলোকে মুসলমানদের দৈনন্দিন অভ্যাস গঠনে সহায়ক হবে। ঘুম থেকে শুরু করে চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, ইবাদত, সামাজিক আচরণসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহগুলোকে সংকলন করা হয়েছে ‘ডেইলি সুন্নাহ’ বইটিতে।
‘ডেইলি ফিকহ’ বইটিতে ধর্মীয় বিধান ও মাসআলাগুলোকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের মৌলিক ইবাদত ও নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে পালন করতে সহায়ক হবে। পবিত্রতা, নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ-সহ প্রতিটি ইবাদতের সঠিক পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ফিকহি নির্দেশনা আলোচনা করা হয়েছে।
‘ডেইলি আমল সিরিজ’ পাঠকদের ইসলামি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মীয় নীতিমালার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। আশা করি, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইসলামি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য ‘ডেইলি আমল সিরিজ’ এক অনন্য সহায়ক হয়ে উঠবে।
আমি আহমাদ রিফআত। মানিকগঞ্জ জেলা সদরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি শেষে কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করি। মাওলানা সাইদ আল-মেসবাহ হাফিজাহুল্লাহর স্নেহধন্য হয়ে জালালাইন জামাত পর্যন্ত তার স্বপ্নের জামিয়ায় পড়াশোনা করি। মেশকাত ও দাওরা সমাপ্ত করি শাইখুল হাদীস রাহি. প্রতিষ্ঠিত জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া থেকে। ঢাকা বাঙলা কলেজেও পড়াশোনা করি। কওমি মাদরাসায় আসা ও মাদরসায় পড়াশোনার মূল প্রেরণা ছিলেন ‘ড. জাকির নায়েক’। ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কল্যানের স্বপ্ন নিয়ে দ্বীনের দায়ী হতে চাইতাম। এজন্য দাওরায়ে হাদীস পড়াশোনা শেষে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয় মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার ‘ইসলামি দাওয়া’ অনুষদে। মুফতি আবুল হাসান আবদুল্লাহ ও মাওলানা আবদুল মালেক হাফিজাহুল্লাহর ইলমি বাগিচায় দুটি বছর বিচরণ করি। উপকৃত হই দীনের মহান দুজন গবেষক ও দায়ী মাওলানা জাকারিয়া আবদুল্লাহ ও মাওলানা হুসাইন ছহেবের সংস্পর্শ থেকে। ২. লেখালেখি ও কেরিয়ার: জালালাইন জামাতে অধ্যায়ণ রত অবস্থায় ‘ইসলামকে বুঝতে সংক্ষিপ্ত ও সচিত্র নির্দেশিকা’ নামে প্রথম অনুদিত বই বের হয়। মেশকাত, দাওরা উচ্চতর পড়াশোনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে আরো কিছু বইয়ের অনুবাদ করি। আমার প্রথম লিখিত বই ‘সিয়ার ও রমযান’। দ্বিতীয় বই ‘কিতাবুল মাগাজি’। লিখিত সিরিজ ‘ডেইলি কুরআন, ডেইলি সুন্নাহ ও ডেইলি ফিকহ’। তাহকিক ও তাখরিজের সুযোগ হয়েছে ‘সিয়ারুস সাহাবা’ সিরিজসহ কুড়িটির মত বইয়ে। এছাড়া, মানিকগঞ্জ শহরের একটি কওমি মাদরাসায় শিক্ষতার পেশায় নিযুক্ত রয়েছি। ৩. স্বপ্ন ও কিছু সিদ্ধান্ত: এখন সময়টা চলছে চব্বিশের শেষ। বয়সটাও কম। নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলতে কিছু জটিল ও যথোপযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রথম সিদ্ধান্ত, নিজের জন্য কয়েকটা বছর ডিজিটাল ডিটক্স। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত, কয়েকজন সুহৃদ ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সহায়তায় ডিজুয়াল মিডিয়াল পদার্পন। তৃতীয় সিদ্ধান্ত, আত্মিক সংশোধন ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে সোহবতে আহলুল্লাহ ও প্রচলিত তাবলিগ জামাতের সাথে সময় দিয়ে ঐশী দায়িত্ব পালন করা। চতুর্থ সিদ্ধান্ত ও মিশন, আমার বহুদিনের স্বপ্ন ‘শরীয়াহ ভিত্তিক ইসলামিক স্কুল’ প্রকল্প বাস্তবায়ন।