যারা ভূত বিশ্বাস করেন, তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, "ভূত কী?" তাহলে বেশিরভাগই উত্তর দিবেন, "আত্মা। অপঘাতে মারা যাওয়া মানুষের আত্মাই হলো ভূত।"
-"ভূত দেখেছেন কখনো? কেমন দেখতে?"
নড়েচড়ে বসেন ভূতের দেখা পাওয়া ব্যক্তি। ভূতের বর্ণনা আসার আগেই আসে ভৌতিক পরিবেশের বর্ণনা। যেমন অমাবস্যার রাত, পরিত্যক্ত বাড়ি কিংবা শ্মশানঘাটের কথা। ভূতের চেহারাও হয় বিকট।
আচ্ছা ভূত কি সবসময় এমন স্থানেই দেখা যায়? এমন বিকট রূপে? আপনি কি নিশ্চিত, এই যে চলার পথে যত জনের সাথে আমাদের সাথে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। তারা সবাই জীবিত মানুষ?
চিন্তায় পড়ে গেলেন তাই না? কিন্তু এমন প্রশ্নই মনে চলে আসবে যখন শারমিন সুলতানা চৌধুরীর "ভূত বলে কিছু নেই?" পড়বেন। শারমিন সুলতানা চৌধুরীর লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক আমি। এই বইটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। নিখাদ ভয়ের আবহের সাথে চমৎকার প্লট, লেখনশৈলী পাঠককে মুগ্ধ করতে বাধ্য। নেশা, লাশ, এড রিকুয়েষ্ট, মৃত্যু, স্মার্টফোন সহ প্রতিটি গল্পের প্লট আলাদা, কাহিনি বৈচিত্র্যময় এবং অতি অবশ্যই নিখাঁদ হরর।
হরর এবং রহস্যপ্রেমীদের চমৎকার সঙ্গী হতে চলেছে, "ভূত বলে কিছু নেই?"