বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হতে যাচ্ছে সদ্য প্রয়াত হা'মা'স নেতা শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ার- এর অসমাপ্ত আত্মজীবনী! প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় অনূদিত গ্রন্থটি স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশের সকল পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই।
"তরফদার প্রকাশনী" থেকে প্রকাশিত বইটি পাওয়া যাবে আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখের মধ্যেই ইনশা আল্লাহ!
ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার, ফি-লি-স্তি-নের স্বা'ধী'নতা আ'ন্দো'লনের মহানায়ক, হা'মা'সের নেতা এবং এই আত্মজীবনীমূলক অর্ধ-উপন্যাসের লেখক,
লক্ষ লক্ষ ফি-লি-স্তি-নি এবং মু-স-লিম বিশ্বের কাছে তিনি গা'জা'র নায়ক হলেও ই-স-রা-য়েল এবং বিশ্বের অনেক ই'হু'দি জাতির কাছে তিনি একজন খলনায়ক।
তাঁর ৬১ বছর জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময়ই তিনি কাটিয়েছেন ই-স-রা-য়ে-লের কারাগারে! টানা ২৩ বছর তিনি ই-স-রা-য়ে-লের কারাবন্দি জীবন পার করেন।
বইটি দীর্ঘ বছরের ফি-লি-স্তি-নি জনগণের সং'গ্রাম এবং স্থিতিস্থাপকতার একটি গভীর ও ব্যক্তিগত চিত্র প্রদান করে।
ই-স-রা-য়ে-লের কারাগারে থাকাকালীন লেখা তার পাঠ্য "আল-শক ওয়াল কুরুনফুল" যা সাম্প্রতিক আরবি আত্মজীবনীমূলক সাহিত্যে একটি বাইনারি শিরোনাম!
যারা ফি-লি-স্তি-ন, ই-স-রা-য়েল কিংবা মসজিদে আল-আকসার রহস্য ও এর পেছনের সং'গ্রাম ও সংঘাত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য আদর্শ একটি পাঠ্য-সহায়ক গ্রন্থ হবে এটি ❤️
ইয়াহইয়া সিনওয়ার। ফিলিস্তিনের একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা, লেখক, গবেষক। ফিলিস্তিনের সামরিক ও রাজনৈতিক দল হামাস-এর রাজনৈতিক শাখার প্রধান। ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনির সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ে ইয়াহইয়া সিনওয়ার শহিদ হন। ধারণা করা হয়, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনাটি ছিল তার। ১৯৬২ সালে খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া সিনওয়ারের যৌবন কেটেছে ইসরায়েলি কারাগারে। খান ইউনিস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারাবিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ২০১১ সালে মুক্তির পর তিনি গাজায় হামাসের প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তেইশ বছরের বন্দি জীবনে তিনি চমৎকার হিব্রু শেখেন। হিব্রু থেকে গোয়েন্দা সংস্থা শিন-বেতের দুই প্রধানের তিনটি বই অনুবাদ করেন। এ ছাড়াও লেখেন আরও দুইটি গবেষণা গ্রন্থ, একটি আখ্যান ও একটি উপন্যাস—‘আশ-শাওক ওয়াল কারানফুল’ (কাঁটা ও ফুল)। পুরো নাম ইয়াহিয়া ইবরাহিম হাসান সিনওয়ার। ১৯৮৫ সালে তিনি রাহি মুশতাহার সাথে নিরাপত্তাসংস্থা ‘মাজদ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৯৮৭ সালে হামাসের ‘পুলিশ’ প্রশাসনে রূপান্তরি হয়। ২০১৭ সালে গাজার প্রশাসনিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ তিনি গাজাবাসীকে ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে ফেলতে উৎসাহিত করে বলেন, ‘আমরা নিপীড়ন ও অপমানে মারা যাবার চেয়ে শহিদ হয়ে মরতে চাই।’ সিনওয়ার ছিলেন গাজায় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার হামাস কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই ইসমাইল হানিয়া ইরানে শহিদ হলে সিনওয়ার হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন ৩ সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সালিহা সামার ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাকি ২ ভাইয়ের একজন মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং অন্যজন যাকারিয়া সিনওয়ার ফিলিস্তিনের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ও একাডেমিশিয়ান।