Category:#3 Best Seller inস্মারকগ্রন্থ ও বিবিধ
বাংলাদেশ কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটি থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি দেয়। দাবি না মেনে নিয়ে ১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ হিসেবে অভিহিত করলে এ আন্দোলন তীব্র হয়। এরপর সরকারের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং নির্বিচারে হত্যা। আন্দোলনে প্রাণহানিকে ‘জুলাই গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে নয় দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে ছাত্রজনতা। জুলাই জুড়ে আন্দোলন চলেছে, আন্দোলনের মাঝে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রাণ গিয়েছে বহু শিক্ষার্থীর।
সেই কারণেই আগস্ট শুরু হলেও, নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আগস্ট মাসের দিনগুলোকেও জুলাই হিসেবে গণনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তারপর গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। আন্দোলনের সফলতাকে আন্দোলনকারীরা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এবং এই দিনটিকে ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে এবং দাঁড়িকমা প্রকাশনীর বিশেষ প্রকাশনায় রক্তক্ষয়ী সেই বিপ্লব ও বিজয়ের কবিতা সংকলন ‘৩৬ জুলাই’। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই স্মারক গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে আন্দোলনের স্লোগান, স্লোগানের ইতিহাস, কবিদের কবিতা এবং সমন্বয়কদের মূল্যবান মতামত ও অনুভূতি।
Report incorrect information