‘তোত্তো-চান’ বইটির ইংরেজি অনুবাদ আমি প্রথম পড়ি বছর আটেক আগে। এবং বলা বাহুল্য, মুগ্ধ হই। সেই থেকে বইটি বাংলায় অনুবাদ করতে চাইছি আমি।
মূল জাপানী ভাষা থেকে ‘তোত্তো-চান’-এর একটি বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো ঢাকার বাংলা একাডেমী থেকে। সংগ্রহ করতে চেয়ে সেটি আমি পাইনি; বাংলা একাডেমীর অফিস থেকেই বলা হয় যে বইটি ড়ঁঃ ড়ভ ঢ়ৎরহঃ। অথচ, একবার বইটির বাংলা অনুবাদের অনুমতি দেওয়া হয়ে গিয়েছিলো বলে দ্বিতীয়বার তা পেতে অনেক সময় লেগে যায়।
আমি ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, বিশেষ করে অরুণ চক্রবর্তীর প্রতি কৃতজ্ঞ আমাকে 'তোত্তো-চান' অনুবাদের দায়িত্ব দেবার জন্য। এই বইটির সঙ্গে আমার পরিচয় করানোর পেছনে দুজন শিক্ষাবিদের ভূমিকা রয়েছে-দিল্লির অরবিন্দ গুপ্তা এবং কলকাতার মেরি অ্যান দাশগুপ্ত। গত আট বছর ধরে ওঁরা আমার পাশে না থাকলে আমি এই অনুবাদ সম্পন্ন করতে পারতাম না।
শেষে বলি, এমন অসাধারণ একটি বই অনুবাদ করতে পেরে আমি ধন্য হয়ে গেছি। আমি জাপানী ভাষা জানি না। হয়তো মূল বইটির সঙ্গে আমার অনুবাদের বিস্তর দূরত্ব রয়ে গেলো। তবু ডরথি ব্রিটনের ইংরেজি অনুবাদটি যেহেতু তেৎসুকো কুরোয়ানাগির খুব ভালো লেগেছিলো, আমি সেই ইংরেজি অনুবাদের যতটা কাছাকাছি থাকা যায়, তারই চেষ্টা করেছি।