পূর্বসূরী রঘুনাথ শিরোমণিসহ অন্যদের অনুসরণীয় পথে হেঁটেও মহেশ^র ন্যায়চর্চায় ছিলেন স্বতন্ত্র। অনন্যতার জন্য তাঁর কালেই পঞ্চখণ্ড লাভ করে ক্ষুদে নবদ্বীপের স্বীকৃতি। শ্রীনাথের গ্রন্থেও এ বিষয়ে রয়েছে সমর্থন, ‘তিনি দেশে ও বিদেশে শাস্ত্রচচ্চর্া ও প্রচারের দ্বারা জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন। তাহার জীবনের প্রভাবে পঞ্চখণ্ডেও তাহার সময় হইতে শাস্ত্রালোচনার প্রসার ততোধিক বর্ধিত হয়। ঐসময় হইতে পঞ্চখণ্ডকে “ক্ষুদ্র নবদ্বীপ” বলিয়াও অনেকে অভিহিত করিতেন। মহেশ্বর ঘরে বাহিরে অশেষ যশের অধিকারী হইয়াছেন এবং জন্মভূমি পঞ্চাখণ্ডকেও চির গৌরবান্বিত করিয়া গিয়াছেন। তাহার জন্মে বাস্তবিকই “স্কুলং পবিত্রং জননী কুতার্থা” এই বাক্যটি পূর্ণসিদ্ধি লাভ করিয়াছে।’