অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম ছোটদের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বর্ণিল কর্মময় জীবন নিয়ে একটি বই লেখব। কারণ শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন শিশু-কিশোরদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাষ্ট্রপ্রধান এমন অন্তরঙ্গভাবে শিশু-কিশোরদের সাথে মিশে নাই। তাদের প্রতিভা বিকাশ ও বিনোদনের জন্য এমন অন্তরঙ্গভাবে কাজ করেন নাই। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, শিশু বিজ্ঞান যাদু ঘর, শিশু পার্ক নির্মাণ তাঁর অন্যতম কীতি। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য টেলিভিশনে 'নতুন কুঁড়ি' অনুষ্ঠান শুরু হয় তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
১৯৮১-র ৩০ মে'র কাকডাকা ভোরে চট্টলার সার্কিট হাউজে যড়যন্ত্রকারী ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের ২ কোটি শিশু-কিশোররা হয়েছিল এতিম ও শোকাহত। তাদের প্রিয় বন্ধুর মহাপ্রয়াণে তারা হয়েছিল বেদনাহত, বাকরুদ্ধ। হাজার হাজার শিশু ফুলের স্তবক নিয়ে হাজির হয়েছে তাঁর মাজারে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। এদের অনেকেই এখন যুবক। কেউবা কর্মক্ষেত্রে ঢুকেছে। তারা আজও তাদের প্রাণপ্রিয় বন্ধুর কথা ভুলতে পারে নাই। এদের অনেকেই বহুবার আমাকে অনুরোধ করেছে ছোটদের জন্য শহীদ জিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে একটি বই লেখার জন্য। কিন্তু সময়ের অভাবে পারছিলাম না। কিন্তু এবার কমল কুঁড়ির প্রকাশক স্নেহাস্পদ জাহিদুল ইসলামের অনুরোধকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। তাছাড়া আমার বড় ছেলে আজমাঈন আমিনও আমাকে বার বার তাগিদ দিয়েছে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবন নিয়ে ছোটদের উপযোগী করে একটি বই লেখার জন্য। তাই অত্যন্ত ব্যস্ততার মাঝেও খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে ছোটদের উপযোগী করে শহীদ জিয়ার জীবনালেখ্য লেখতে হয়েছে। বইটিতে শিশুদের কল্যাণে শহীদ জিয়া যে সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এ বইটি পাঠে আমার ছোট্ট বন্ধুরা যদি ইতিহাসের রাখাল রাজা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ান্টর রহমানের কর্মময় জীবন ও মহীয়ান আদর্শ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং তা অনুসরণ করে তবেই আমার শ্রমকে স্বার্থক
Report incorrect information