2 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 150TK. 129 You Save TK. 21 (14%)
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর (১৯২২-১৯৭১) 'তরঙ্গভঙ্গ' (১৯৬৫) নাটকটি 'একটি বিচারকের কাহিনী' নামে ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা 'সংলাপ'-এ দুই কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছিল। নাটকের নায়িকা আমিনা তার স্বামী ও শিশু-সন্তানকে হত্যা করেছিল-সেই বিচারের রায় দিতে বিচারকের বিলম্ব হবার কারণ মানসিকভাবে নায়িকার মনস্তত্ত্বের ব্যাপারে তাঁর অন্তগূঢ় চিন্তন।
নাটকটির চরিত্রসমূহের মধ্যে জজ, মৌলবী আবদুস সাত্তার, উকিল, ভিখারিনী, মতলুব আলী, যুবক, আসামি আমেনা ও বারিশ পীর এবং কেরানি, চাপরাসি ও গ্রামবাসী উল্লেখযোগ্য। মৌলবী আবদুস সাত্তার হলো নায়িকা আমিনার বিরুদ্ধে ফরিয়াদি বা অভিযোগকারী অর্থাৎ বাদী। মৌলবী সাহেবই স্বামী ও সন্তান হত্যাকারী আমেনাকে আসামি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফরিয়াদি হিসেবে তার বিচার চেয়ে তার ফাঁসি কার্যকরের চেষ্টা করেছে। আমেনা দারিদ্রর ও মনস্তাত্ত্বিক গভীর কোন কষ্টের কারণে স্বামী ও শিশু-সন্তানকে হত্যা করে নির্বাক হয়ে গিয়েছে। নাটকে আমেনার একটি সংলাপও নেই। সে যে দুজনের হত্যাকারী শুধু এ বিষয়টির স্বীকারোক্তি আছে। বেদনায় স্তব্ধবাক আমেনা এই নাটকের নায়িকা চরিত্র হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণে যে, নির্বাক ও স্তব্ধ হয়ে যাওয়া এ নারীর জৈবনিক বেদনার পরিপ্রেক্ষিতকে নাট্যকার নির্বিকার শৈল্পিকত্বে তাঁর নাটকে উপস্থাপন করেছেন।
আমেনা নাটকের নায়িকা। কিন্তু সে স্বামী ও সন্তান হত্যার জন্যে আসামি হিসেবে আদালতে উপস্থিত। আমেনার স্বামী কুতুব শেখের তিন ভাই আমিনাকে আসামি হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। মৌলবী আবদুস সাত্তার নেওলাপুরীও তার লেবাসকে ব্যবহার করে আমেনার ফাঁসি যাতে কার্যকর হয় সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচেষ্টাপ্রবণ ছিল। বিচারক, যিনি জজ চরিত্র হিসেবে নাটকে উপস্থাপিত-তিনি গভীর চিন্তার কারণে হুট করে এ ব্যাপারে রায় দিতে চায়নি। রায় যখন পড়া হবে-তখনই নাটক শেষ হয়। রায় যে কি হল-তা-ও নাটকে বলা হয়নি। আসামি আমেনাকে তাঁর স্বামী কুতুব শেখের তিন ভাই ও গ্রামবাসী অন্যান্যরা মিলে মেরেই ফেলেছে-এহেন কাহিনিও নাটকে অভিব্যক্ত আছে। স্বামী রুগ্ন ছিল। স্বামীর অসুস্থতার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ধুতুরার বিষ খাইয়ে আমেনা তাকে হত্যা করেছে। আমেনা ধনী ঘরের মিঞাদের বাড়িতে কাজ খুঁজতে