বিএফজি কোনো সময় নষ্ট করল না। প্রথমে খুবই সতর্কতার সঙ্গে সে জানালার নিচের অংশটা সাবধানে উপরে তুলে দিল। জানালার ক্ষেত্রে সে একজন বিশেষজ্ঞ। নিজের স্বপ্ন ছোড়ার জন্য সে হাজার হাজার জানালা বছরব্যাপী খুলে ফেলেছে। সে দেখে খুশি হলো যে রানির জানালাটা সিল্কের মতো উপরে উঠে গেল। এখন সেখানে সোফি সহজেই বসে থাকতে পারবে। এরপর সে পর্দার ফাঁকটা বন্ধ করে দিয়ে তার কান থেকে তুলে নিয়ে সোফিকে বসিয়ে দিল জানালার গ্রিলের উপর। সোফির পা ঝুলে থাকল রুমের ভেতরে, তবে সে থাকল পর্দার বাইরে। বলল, কিছুতেই পেছনদিকে পড়ে যেয়ো না। সব সময় শক্ত করে জানালার গ্রিল ধরে থাকবে।
সোফি তাই করল।
লন্ডনে তখন গ্রীষ্মকাল। রাতটা তেমন ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু তার পরনে মাত্রই একটা নাইটি। তাকে একটা ড্রেসিং-গাউন দেয়া দরকার ছিল।
এবার বিএফজি তার পকেট থেকে বার করল স্বপ্নের জার। খুলল সেটার ঢাকনা। খুবই সতর্কতার সঙ্গে সে তার ট্রাম্পেটের চওড়া মুখ দিয়ে স্বপ্নটা ঢালল। টাম্পেটটা ঢুকিয়ে দিল জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতরে। বিছানা লক্ষ্য করে এবার সে একটা গভীর লম্বা শ্বাস নিল নিজের গাল দুটো ফুলিয়ে। সে স্বপ্ন ছুড়ে দিল।