মায়াবী চাঁদ। রূপসী চাঁদ। এর নরম, ধূসর স্নিগ্ধ আলো স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেয়, আবেশ ছড়িয়ে দেয়।
ভরা জোৎস্না কতই না সুন্দর, মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। জোছনা মন ভরিয়ে দেয়। তাইতো মানুষের কাছে চাঁদ খুব প্রিয়, সুন্দরের প্রতীক। সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গিয়ে এর প্রসঙ্গ চলে আসে খুব সহজে।
শিশুকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে মা চাঁদকে ডাকে-"আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।' মায়ের কাছে শিশুও চাঁদের মত একটা চাঁদ। সে তার চাঁদমণি।
তিথিকে ঘিরে আছে গান। যেমন- "একাদশীর
চাঁদরে ওই রাঙা মেঘের পাশে।" "চাঁদ হেরিছে চাঁদ
মুখ তার সরসীর আরশীতে।"
মার্কিন সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন লিখেছেন,
"প্রত্যেকেই এক একটি চাঁদ এবং সবার একটি
অন্ধকার দিক আছে যা কেউ কখনও অন্যকে দেখায়
না।" আনি উ্যাংকো লিখেছেন, "চাঁদ এত সুন্দর
ছিল যে সমুদ্র একটি আয়না ধরেছিল।” কার্ল
স্যান্ডবার্গ-এর বর্ণনায়- "চাঁদ একাকী কথা বলার জন্য
বন্ধু।” রূপকথার মহানায়ক অস্কার ওয়াইল্ড
লিখেছেন, "স্বাধীনতা, বই, ফুল এবং চাঁদের সাথে
কে খুশী হতে পারে না?" আসলে সুন্দর মনের
অধিকারী সবাই চাঁদকে ভালোবাসে।