এই গল্পটা শাহানের। কিংবা একে আপনি ফেসবুকের রিকোয়েস্ট পাঠানো সেই মেয়েটার গল্প বলতে পারেন, শাহান যাকে প্রজাপতি নামে চিনেছিল। গল্পটা প্রজাপতিরও। কিংবা শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত সেতুর নীরব অশ্রু বিসর্জনের গল্প এটা, বিয়ের পর মা-বাবার কাছে যে মেয়ের পর হয়ে গিয়েছিল; কিংবা গল্পটা রাশেদ নামে সেই যুবকের, যার বাবার দুচোখ বেঁধে জবাই করেছিল চার ব্যবসায়ী বন্ধু, বাবার সেই যন্ত্রণা বুকে বিঁধে বসে আছে আজকেও যে সন্তান।
লামিয়া মেয়েটাকে দেখুন। বাবার মতোই চরিত্রহীন হয়ে ওঠার উন্মাদনা মেতেছে যে, যার শেষ পরিণতি দেখে শিওরে উঠতে হয় আমাদের.... এসব চরিত্রগুলো ভেসে বেড়ায় সমাজের চারপাশে, তাতে মিশে থাকে মৃত শ্যাওলার মত রোদ। জীবনের আরেক রূপ কি তবে তামাশা! মানুষ হয়তো তার নিজের পথ চেনে না কিংবা চিনে নিতে চায় না। বারবার তাই ভুল করে, কেবলই ভুল করে চলেছে সে।
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলে ভালো হতো। ভীষণ অন্ধকার নামতো চারপাশে। এই পোড়া চোখে হয়তো দেখার লাগতো নাই এত কিছু।