গিদাইন্সক পোল্যান্ডের প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং চতুর্থ বৃহৎ শহর । এই শহর দুবার ইতিহাসের মোড় ঘুরায় । প্রথমটি মানব ইতিহাসে ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আসে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় গিদাইন্সকে । আর দ্বিতীয়বার, সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত কমিউনিস্ট বিশ্বব্যবস্থার পতনের শুরুও হয় গিদাইন্সকে, সলিডারিটি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে । এই দুই-ই আজকের ইউরোপের মানচিত্র নির্মাণে বড় ভূমিকা রেখেছে । এই দুই ঘটনা ছাড়াও, দশম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত গিদাইন্সক এগারোশ বছরে বহু উত্থান-পতনের নাটকীয়তায় সমৃদ্ধ হয়ে এখন একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হয়েছে । ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে গিদাইন্সক বহু দেশ ও রাজত্বের অধীন ছিল । দীর্ঘ সময় স্বাধীনও ছিল । এখানে বহু জাতি, মত ও পথের মিলন ঘটেছে । ফলে গিদাইন্সক বৈচিত্রময় । আজ বৈচিত্রই তার প্রাণ । একজন পর্যটকের মতো লেখক কেবল দেখেননি, বরং বৈচিত্রের ভিত্তি অনুসন্ধান করেছেন । এই লেখা সেজন্য কেবল ভ্রমণকাহিনি না, গিদাইন্সকের ইতিহাস বা পর্যটন-কেন্দ্রিক আলোচনা না, বরং একটা জনপদকে ভেতর থেকে দেখার ইতিবৃত্ত । লেখক তার নাম দিয়েছেন, “গিদাইন্সক – ইউরোপের শুরু যেখানে ।'