মুখোশ সরিয়ে আকাশটা দেখে মনের ভেতর প্রশ্ন জাগে
মেঘে ঢেকে গেলে মুখ কেউ কি নেয় সূর্যের খোঁজ!
সৌজন্যতার অঙ্ক কষে বিনয়ী আকাশ নমিত হয়ে মাটির কাছাকাছি এলে একটা সময় দেখে মনুষ্যত্বহীনতায় তার হয়েছে জলাতঙ্ক।
নিঃশ্বাস হারানোর মতো বুকপকেটের বিশ্বাসও কখনো কখনো হারায় উড়ে যাওয়া পাখি দিনশেষে ঠিকই ঠিকানায় ফেরে
শুধু ফিরে না ফুরিয়ে যাওয়া সময়।চোখের কোণে কালি জমলেও এক আকাশের নিচে থেকে কেউ কেউ ভালোবাসার প্রবোধ খোঁজে আকাশটা একটু নামুক তবেই তুমি ওড়ো
তোমায় ছোঁয়ার জন্য থেকো নাগালের ভেতরো।
মায়ের মমতার নদী ক্ষণে-অনুক্ষণে হৃদয়ের ক্ষরণ ঠিকই উপশম করে আসমান-জমিন ভেদে মা থাকে দুই নয়নে, তাই তো শিশিরবিন্দু ঠাঁই নেয় সদা চোখের কোণে।
প্রেম-বিরহ, দ্রোহ, বিদ্রুপ, চাওয়া-পাওয়া জীবনের নানা অসংগতি
ক্ষণে ক্ষণে অনুচ্চারিত হয়েও লক্ষ-কোটি কথার ভেলা
মনের গহিনে আলো-আঁধারের অনুভূতির খেলায় ঠিকই ছুটে বেড়ায়।
ক্ষণের অনুভূতি কখনো কখনো হয়ে যায় অনুক্ষণের।
এভাবেই ছুটে চলে সময়, ক্ষণে-অনুক্ষণে।
এইসব অনুভূতির সম্মিলনে হাসান সুজনের অণুকাব্যগ্রন্থ, ‘ক্ষণে-অনুক্ষণে’।