6 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 200TK. 179 You Save TK. 21 (11%)
Get eBook Version
TK. 90
In Stock (only 5 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Related Products
Product Specification & Summary
যৌবনে অসাধ্য সাধন সম্ভব এবং নিজের কামনা পূরণের জন্য অন্য সবার মতো আমার ইচ্ছাও ছিল প্রবল। নতুন জ্ঞানের চর্চায় কামনার নারীকে বশীকরণের সময় বুঝতে পারলাম, সেই নব্বই বছরের দাড়ি-মাথায় জটওয়ালা বৃদ্ধই শয়তানের এক রূপ ছিল। নারীরা আমার সাথে সঙ্গমরত থাকত, তারা আমার ভেতর সেই বৃদ্ধকে দেখতে পেত। যদিও তারা আলাদাভাবে সেই জটওয়ালা শয়তানকে দেখেনি। রূপ স্থানান্তর করে তিনি আমার রূপে তার কাছে গিয়ে তাকে বাধ্য করেছেন আমার দৃশ্যমান দেহের কাছে আসতে।
কিন্তু আমার রূপেও তার শরীর স্থানান্তর হতো সঙ্গমের সময়, খুব কম মুহূর্তের জন্য হলেও। বশীকরণ থেকে শক্তি ধারণ, প্রাণ থেকে প্রাণে প্রবেশ, কত সাধনা। মানুষের দেহ এক বস্তুর মতো। ক্ষুধা-কামনা-অনুভূতির মিশ্রণ। তাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কিছু না। তার মগজের ভেতর বিভিন্ন দৃশ্য-গন্ধ-অনুভূতি শক্তিরূপে থাকে। দেহের সাথে পরমের সম্পর্ক নেই। তাই তো শয়তানের নিয়ন্ত্রণ বা নেগেটিভ শক্তি এত শক্তিশালী এই দেহ-জগতে। সমাজের নিয়ন্ত্রণ তা প্রয়োজনীয় করে তুলেছে। দেহের বিচার বিভাগের প্রধানকে শয়তান নিয়োগ দেয়। ধর্মালয় থেকে শয়তানের পূজার বলি বা কোরবানি, সবই এখন শয়তান সাধকের কালো টাকায় হয়। এক চোখা ক্যামেরা যা দেখাবে তাই সত্য এখন মানুষের কাছে। আমার কাছেও শয়তান সত্য। বাংলাদেশ-ভারতের গ্রাম ঘুরে শয়তান সাধনার বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র-যন্ত্রজ্ঞান অর্জন করি। শুরুতে জ্ঞানের পথে শিহরণ ছিল, কিন্তু মহাজ্ঞানের চিন্তা একবার স্পর্শ করলে গতি চলে যায়। দম দীর্ঘশ্বাসে রূপ নেয়।