ভেজাল ভূতের গল্প বইটি, শিশু মনে নির্মল আনন্দের সাথে, তাদের কল্পনার রাজ্যে, চিন্তার বাস্তব বিকাশের অনুঘটক হিসাবে প্রেরণা জোগাবে। চিন্তার বাস্তব বিকাশ, নতুন নির্মাণের পথকে সুগম করে, সভ্যতাকে আরো বিকশিত করে। শিশু মনের হাজারো প্রশ্ন, অজানাকে জানার আগ্রহ, মনোজগতের বিকাশ, নিত্যনতুন তত্ত্ব ও তথ্য প্রবাহের দিকে টানে। যা মানবতা বিকাশের সাথে সাথে সমাজ ও রাষ্ট্র বিকাশে শিশু কিশোরদের চেতনাকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায়। যার মূলে থাকে দাদু দিদারা।
কিন্তু কালের প্রবাহে স্রোতের উলটা টানে সেই মেঠো গল্পের ভূত পেতনি, রাক্ষস খোক্কস ও পরিদের সাথে গল্পকথক দাদু দিদারাও হারিয়ে গেছে। কল্পনা মনের ধূসরতাকে সরিয়ে নীল আকাশের অজানা নক্ষত্রকে আবিষ্কার করে। সে কল্পনার রাজ্যের ভূত পেতনিরা আজ আরো ভয়ংকর রূপে বাস্তব জীবনের পরতে পরতে কীভাবে ঢুকে পড়েছে মানুষরূপী ভূত পেতনিরা তাদের বিকৃত মনের ক্যানসার হয়ে কীভাবে ফিরে এসেছে, সে গল্পই ভেজাল ভূতের গল্প বইটিতে সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। এ বইটি কচিকাঁচাদের কল্পনার গল্প কাহিনি মনের খোরাক মিটিয়ে বাস্তবদর্শী করবে বলে আমার বিশ্বাস।