সুবর্ণপুরের সব কিছু আমাকে কেমন এক মায়া দিয়ে আটকে রাখতে চাচ্ছে। শুধু মনে হচ্ছে আরেকটা দিন থেকে যাই। আরেকটা দিন দেখে যাই সুবর্ণপুরের খাল, কাঠের পুল, মাঠ ঘাট, টেকের ওপর বড় বটগাছ, খালপাড়ের পুরনো মন্দির, জুতা সেলাই করা সেই শীর্ণকায় মানুষটাকে।
আমাকে আর বর্ষার বিল ডাকবে না শাপলা তোলার জন্য। ভাদ্রের জোছনারাত ডাকবে না চাঁদ দেখার জন্য।
শিউলিতলায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকবে কমলা বোঁটার শাদা শাদা শিউলিফুল। কে তাদের আদর করে মুঠো ভরে নেবে। বেতস ঝোঁপে ডাহুকের ডাক কে শুনবে?
সরষে ক্ষেতে আমি যে কিশোরীকে হারিয়ে যেতে দেখেছিলাম তার খবর কে রাখবে। প্রতি শীতে সে হয়ত ফিরে আসবে সরষে ক্ষেতে আমাকে দেখার জন্য। এসে দেখবে আমি নেই।
কাশফুলের ছোঁয়ায় আমার ভেতরে শিহরণ জেগেছিল সেই কথা কেউ জানবে না। যে ছোঁয়া আমার ভেতর থেকে শৈশবটাকে আলাদা করে কৈশোরকে জাগিয়ে তুলেছিল।