বই সম্পর্কে
নিরুদ্দেশ ভাইকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে যায়
নূরুলদিন। অন্যরকম দেবদাস হয়ে হঠাৎ একদিন
ফিরে আসে রেবেকার কৈশোরের ভালবাসা।
যুদ্ধেমগ্ন ইকবাল ও তার বন্ধুরা। আনচান করে
শেফালির মন। গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে ছারখার।
নদীজলে ভেসে যায় লাশের পর লাশ। মজিবুর
স্যার নিহত। "তবু মাথা নোয়াবার নয়' পল্লীবাংলার
মানুষ। স্যারের বুকে বিছিয়ে দেয়ার জন্য।
বাংলাদেশের ছোট একটি পতাকা নিয়ে আসে
মকসুদ খলিফা! অদেখা সন্তানের কবরের পাশে
পৌষের রাতে নিশ্চুপ বসে থাকে যুদ্ধফেরত শরাফ
উদ্দিন। বালক মজনু শাহ ব্রহ্মপুত্রে সদ্য জেগে ওঠা
ভেজা বালুচরে একাকি ঘুরে বেড়ায়। চরজুড়ে
ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি,
হাড়গোড়। ও অপেক্ষায় প্রহর গুনে কখন ফিরে
আসে নিরুদ্দেশ ভাইয়েরা।
বাড়ি ফিরে আসে
নূরুলদিন। ফিরে আসে স্মৃতিভ্রষ্ট শরাফ উদ্দিন।
জীবন দিয়ে দেশের জন্য ভালবাসার ঋণ শোধ
করে যোদ্ধা ইকবাল। পাওয়ার আগেই নিঃস্ব হয়ে
যায় বাগদত্তা শেফালি। মধুপুরগড়ে করিম দারোগার
চ সাথে দেখা হয়ে যায় নুরুলদিনের। স্মৃতির জানালায়
উকি মারে উনসত্তরের সংগ্রাম, একাত্তরের
অসহযোগ।
সমস্ত বেদনা-বিরহ পেছনে ফেলে
বিজয় আসে অবশেষে। এই গল্প একাত্তরের। বিরহ
বিজয় উপন্যাসে জীবন্ত হয়ে ওঠে অশেষ বেদনা,
নিরূপম ভালবাসা, গৌরব ও সাহসে ভরা সেই
দিনগুলো। ফাইজুস সালেহীনের কলমে প্রতিটি
চরিত্র ধরা পড়ে অবিকল। ইতিহাস যাদের কথা
লেখে না, যেখানে সে অন্ধ-বধির সেখানে আলো
ফেলেছেন এই কথাশিল্পী। ছোট কলেবরের এ এক
অনন্য সাধারণ বৃহৎ উপন্যাস।