চিন্তার বিষয় হলো, কুরআন কি শুধু তিলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে, না এটি শুধু মৌখিক গুণ-কীর্তন ও প্রশংসার জন্য এসেছে, না শুধু ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ হয়েছে? না, বরং কুরআন তো রাসুল সা.-এর ওপর এ জন্য নাজিল করা হয়েছে যে, কুরআন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এবং দুনিয়ার সামনে আল্লাহ তাআলার দ্বীনের পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ নমুনা চলে আসে। কুরআনের আলোকে রাসুল সা.-কে প্রেরণের উদ্দেশ্য এটিই ছিল। এ কারণেই রাসুল সা.-এর পবিত্র জীবনে এই চেষ্টা-প্রচেষ্টাই ছিল। এ জন্যই মেহনত করা, কষ্ট সহ্য করা, জান কুরবান করা, বিভিন্ন ত্যাগ স্বীকার করা ও সম্পদ ব্যয় করা। মোটকথা এই পথে নিজের দেহ ও জানের সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর দাবি ওই লোকদের থেকেও, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সা.-এর প্রতি ইমান আনে।