1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 240TK. 209 You Save TK. 31 (13%)
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
নাট্যরীতি বলতে আসলে কোন্ রীতিতে নাটকটি রচিত, নাটকটির গঠন-কাঠামো
পরিলক্ষিত, তার মঞ্চ-পরিস্থিতি, চরিত্র-চিত্রণ, সংলাপ, দ্বন্দ্ব সৃষ্টিসহ সমকালীন
দর্শক রুচি ও যুগ-প্রভাবও সম্পর্কিত। বাংলা নাটকের ১৮০০-১৮৫০ যদি প্রহসন
যুগ ধরি; সে প্রহসনের আঙ্গিক কৌশলে শৈথিল্য এবং ১৮৫০-১৯২০ পর্যন্ত যদি
ধরি সামাজিক ও ঐতিহাসিক নাটক পর্যায়—তবে এ সময়ের মঞ্চরীতি সামাজিক
ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতের সাথে সম্পর্কিত। ১৯২০-৪৭ মুসলিম নাট্যকারদের
ঐতিহাসিক স্বদেশপ্রেমধর্মী নাটক। ১৯৪৭-৭০ সময় পর্বে ওয়ালীউল্লাহর নাটক
পড়ে। ১৯৫৫তে ‘বহিপীর’ লিখেন। প্রকাশিত হয় ১৯৬০ এ। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্
তাঁর 'তরঙ্গভঙ্গ' নাটকে Exprssionistic নাট্য চিন্তা এবং ‘উজানে মৃত্যু’তে
Absurdity ও Exprssionistic চেতনা ও ‘বহিপীর’ এ Exestentialistic
নাট্যচিন্তার পরিচয় দিয়ে কালা নাট্য রীতিতে অভিজ্ঞত্মের পরিচয় দিয়েছেন।
১৮০০-১৮৫০ সময় পর্বের বাংলা প্রহসনের মধ্যে সমাজকে সংস্কারের
ব্যাপার ছিলো এবং ধনী-জমিদারদের আনন্দ-যাপনের একটি ব্যাপারও ছিলো ।
তাই সে প্রহসন-গঠন-কৌশল ও মঞ্চরীতিতে একটি সহাস্য পরিবেশ নির্মাণের
ব্যাপার ছিলো।
১৮৫০-১৯২০ সময় পর্বে মধুসূদন, দীনবন্ধুমিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, মীর
মশাররফ হোসেন, ডি. এল. রায়, রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাব।
মধুসূদন তাঁর ‘কৃষ্ণকুমারী’তে Shakespeareen Tragedy চিন্তার পরিচয়
দিয়ে বাংলা নাট্যরীতির উন্নয়ন করেন।
গিরিশচন্দ্র ঘোষের সামাজিক নাটক ‘প্ৰফুল্লে’ তিনি সামাজিক ও পারিবারিক
চিন্তনের ও নাট্য চরিত্রের মধ্যে ষড়যন্ত্র-প্রসঙ্গ এনে মধ্যবিত্ত মানসের নাট্যচিন্তায়
বৈচিত্র্য আনতে চেয়ে বাংলা নাট্যরীতিকে ঋদ্ধ করেন।
মীর মশাররফ হোসেন ও দীন বন্ধুমিত্র যথাক্রমে তাঁদের ‘জমিদার দর্পণ' ও
‘নীলদর্পণ' নাটকে সাধারণ প্রজাদের ওপর জমিদারদের অত্যাচার এবং
‘নীলদর্পণে’ নীলকর ইংরেজরা চাষীদের ওপর যে অত্যাচার করেছে—চরিত্র সৃষ্টির
নৈপুন্যে ও সংলাপ সৃষ্টির নৈপুন্যে ও সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিয়ে বাংলা
নাট্যরীতিকে সমৃদ্ধ করেন।