গত রাতে স্বপ্নে আমি আবারও ম্যান্ডারলে গিয়েছিলাম। জনমানবহীন বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম অনেকক্ষণ। লোহার প্রবেশদ্বারে শেকল পেঁচানো তালা দেওয়া ছিল। স্বপ্নে আমি দারোয়ানকে ডাকলাম, কিন্তু কোনো সাড়া পেলাম না।
মরচে পড়া প্রবেশদ্বারের ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম দারোয়ানের কুটিরটা ফাঁকা, মনে হলো না সেখানে কেউ আছে।
বাড়ির চিমনি দিয়ে কোনো ধোঁয়া বের হচ্ছে না, পরিত্যক্ত কাঁচের জানালাগুলো যেন বিদ্রুপ করছে আমায় দেখে।
তারপর, সকল স্বপ্নচারীর মতো আমিও কোনো এক জাদুকরি ক্ষমতাবলে প্রেতাত্মা হয়ে বন্ধ প্রবেশদ্বার পার হয়ে গেলাম। বরাবরের মতোই বাড়ির পথটা সাপের মতো পেঁচিয়ে চটজলদি বদলে গেল।
আমি সামনে পা ফেললাম। টের পাচ্ছিলাম যে চিরচেনা পথটা আর আগের মতো নেই, সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে। সহসা বুকটা কেমন করে উঠল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তারপর যখন গাছের শাখা-প্রশাখা থেকে গা বাঁচাতে মাথা নিচু করলাম, তখন বুঝতে পারলাম কী ঘটেছে।
প্রকৃতি আবারও ভয়ানকভাবে জেগে উঠেছে, চুপি চুপি ছড়িয়ে গেছে লম্বা পথজুড়ে, খুব সুচারুভাবে আঙুলগুলো মেলে ধরে ডাকছে গহীনে।