23 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 250TK. 120 You Save TK. 130 (52%)
Get eBook Version
TK. 113
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
হিটলার পৃথিবীর একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। মানুষের কাছে তাঁর পরিচিত একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবেও। জন বিরোধী ও মানবতা বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে তিনি তিরিশ ও চল্লিশের দশকে অত্যন্ত আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। যা তাঁর মৃত্যুর পরও এখনও অব্যহত আছে। তাঁর কর্মের ফলে গোটা পৃথিবীতে দেখা দিয়েছিল অস্থিরতা। যুদ্ধ বিগ্রহে মানুষের শান্তি হয়েছিল বিপন্ন। হিটলারের কারণেই শুরু হয়েছিল ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যে যুদ্ধে কয়েক কোটি লোককে প্রাণ দিতে হয়। গোটা পৃথিবীর সবাইকে সে সময় কম-বেশি শিকার হতে হয় তাঁর সেই ভয়াবহ অপরিণামদর্শিতার। বিভিন্ন জাতি-দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হয় ভূলুণ্ঠিত। এসবের জন্য হিটলার পৃথিবীর বিবেকবান মানুষের কাছে অন্যতম ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। এখনো অনেকে তাঁর নাম শুনলে শিউরে ওঠেন। তাঁর নৃশংসতা অতীতের সকল রেকর্ডকে হার মানিয়ে দিয়েছে।
গণধিকৃত এই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর বিভিন্ন লোমহর্ষক কার্যকলাপ মানুষের কাছে রূপকথায় পরিণত হয়। মানুষের মনে তাঁকে নিয়ে দিনকে দিন কৌতূহল বাড়তে থাকে। হিটলারকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নব নব কাহিনির। যে কাহিনির শেষ এখনো হয়নি। সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে চায় তাঁর বিভিন্ন ধিকৃত জীবনের প্রতিবেদন। তিনি জন্ম দিয়ে গেছেন অনেক কাহিনির। এখনও দিচ্ছে। এযাবৎ তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য সংবাদ প্রতিবেদন, বই-পুস্তক। তবুও এর শেষ নেই। প্রায়ই জন্ম হচ্ছে নতুন কাহিনির । উন্মোচিত হচ্ছে বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনাবলি।
অতি সাধারণ একটি পরিবারের ছেলে হিটলার। দারিদ্র্যতার কারণে কিশোর বয়স কেটেছে অত্যন্ত অনাদর ও অবেহলায়। কিশোর বয়সেই তাঁর বাবা মৃত্যুবরণ করলে নামতে হয় পরবর্তী জীবনের কঠিন সংগ্রাম। এ সময় নিজ জন্মভূমি তাঁকে ত্যাগ করতে হয়। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন স্থান থেকে স্থানান্তরে। কিন্তু তাঁর প্রতি ভাগ্য তেমন সদয় হয় না। অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়েও নিজেকে বেঁচে রাখার প্রচেষ্টা তিনি চালাতে থাকেন। কিন্তু দিনকে দিন দুঃখ-কষ্ট বাড়তে থাকায় একদিন নিজ মাকে ফেলে পালিয়ে যান অন্যত্র। এরপরও তাঁর এ অবস্থা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে। অবশেষ একদিন ভাগ্য তাঁর সুপ্রসন্ন হয়। সৈনিক জীবনত্যাগ করে রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকেই তাঁর ধাপ টপকানোর শুরু। রাজনীতিতে অল্পদিনের মধ্যেই তিনি তাঁর দৃঢ় অবস্থান করে নিতে সক্ষম হন। একের পর এক কূটকৌশল অবলম্বন ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ক্ষমতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে সমর্থ হন। এজন্য তাঁকে বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। ক্ষমতায় নিজের স্থান সুদৃঢ় করার পরই তিনি আবির্ভূত হন সরূপে। তার পরের ইতিহাস অনেকেরই কম-বেশি জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের এই ডায়েরিটা খুঁজে পাওয়া যায়। বহু ঘটনার সাক্ষী এই ডায়েরি। তৎকালীন হিটলারের মানসিক চিন্তাধারার স্বচ্ছ দর্পণ এই ব্যক্তিগত ডায়েরিটা হয়তোবা মহাযুদ্ধের কারণগুলো বুঝতে সাহায্য
করবে; সেই সঙ্গে হিটলার এবং সেদিনের জার্মানিকেও। যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানির পটভূমির নায়ক নিঃসন্দেহে হিটলার। আর তাঁর সঙ্গী হিসেবে গোয়েবেলসের ভূমিকাও কমি ছিল না ৷