3 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 850TK. 799 You Save TK. 51 (6%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
পার্বত্য জীবনপ্রবাহে ইতিহাসের পরতে পরতে অস্তিত্বের টানাপোড়েন। নিজ জাতিসত্তা, সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সবুজ পাহাড়ে রক্তের লেপন। বঞ্চিত, রক্তস্রোতে ভাসা প্রাণ যুগে যুগে প্রজন্মের চেতনায় জাগিয়েছে বিপ্লব। ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থা, রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এ অঞ্চলের জনজীবনকে করেছে বিপর্যন্ত। অশান্ত, অনিশ্চিত জীবনধারা তাদের রেখেছিল পশ্চাৎপদতা, বিদ্বেষ আর বিচ্ছিন্নতার আবর্তে। সময়ে তীব্র হওয়া সংকটের শিকড় ক্রমেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করছিল মাটির গভীরে, যার গণ্ডি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছুঁয়েছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে উত্তপ্ত-অস্থির পার্বত্য চট্টগ্রামে থমকে গিয়েছিল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, উন্নয়ন-অগ্রগতি। এ অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতিদের জীবনাচার, অর্থনৈতিক বিন্যাস ও সংস্কৃতি সমতলের অধিবাসীদের তুলনায় ভিন্নতর। যে কারণে ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ রাজশক্তি পর্যন্ত এই অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিদ্রোহ-অসন্তোষকে গভীর ও নানা মাত্রিক বিবেচনায় নিয়ে শাসন পদ্ধতি নির্ধারণ করে। এরপর ১৯৪৭ সালের ২০ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রামে পাকিস্তানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা দেয় বিভক্তি। অধিকারের ব্যাপারে শঙ্কিত একটি গ্রুপ চলে যায় ভারতে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা শাসকরা কিছু শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন করে স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে।
শুধু তাই নয়, উন্নয়ন প্রকল্পের জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় অধিবাসীদের বিষয়টিও তেমন সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচিত হয়নি। এসব ঘটনায় উপজাতিদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে কতিপয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির প্রভাবে বিপুলসংখ্যক নিরীহ সরল উপজাতি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সমর্থন দিতে পারেনি। অবশ্য অনেক উপজাতি নেতা এর বিরোধিতা করে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর উপজাতি নেতাদের কিছু দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে সংকট নতুন রূপ লাভ করে। এ সময়ে সৃষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি দাবি আদায়ে গঠন করে তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী। সদ্য স্বাধীন দেশে সবাইকে নিয়ে একযোগে এগিয়ে চলার যে অঙ্গীকার, সেই প্রতিশ্রুতি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁরই আন্তরিক প্রচেষ্টায় পাহাড়ি