61 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 250TK. 175 You Save TK. 75 (30%)
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
"কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"বইটির ভূমিকা:
আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কিত প্রায় কিছু মাত্রই না বুঝে আমরা দৈনন্দিন জীবন-কর্ম অতিবাহিত করি। যে যন্ত্র থেকে সূর্যের এই আলাে উৎপন্ন হচ্ছে এবং এবং জীবন সম্ভবপর হচ্ছে, যে মহাকর্ষ আমাদের পৃথিবীর সাথে আটকে রাখে (তা না হলে পৃথিবী আমাদের লাটিমের মতাে ঘুরিয়ে মহাবিশ্বের স্থানে নিক্ষেপ করতাে] কিংবা যে পরমাণু দিয়ে আমরা তৈরি হয়েছি এবং যার স্থিরত্বের উপরে আমরা মূলগতভাবে নির্ভশীল, সে বিষয়ে আমরা কিছুই চিন্তা-ভাবনা করি না।
চারপাশের এই প্রকৃতিকে আমরা যেমন দেখি, প্রকৃতি কেন তেমন হলাে, মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলাে কিংবা মহাবিশ্ব কি সব সময় এখানে ছিলাে, কালস্রোত কি কখনাে পশ্চাদৃগামী হবে এবং কার্যকারণের পূর্বগামী হবে কিংবা মানুষের পক্ষে যা জানা সম্ভব তার কি একটা চরম সীমা (Absulate Limit) আছে? শিশুরা কেউই এ সমস্ত চিন্তায় বিশেষ সময় ব্যয় করে না। (শিশুদের জ্ঞান এতাে অল্প যে তারা এ গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসাগুলাে না করে পারে না।)
| অপরদিকে এমন কিছু শিশুর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটেছে, যারা প্রশ্ন করেছে ব্ল্যাকহােল দেখতে কেমন, পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ কী? আমরা কেন অতীতই মস্তিষ্কে স্মরণ রাখি, ভবিষ্যৎ কেন স্মরণ রাখি না? আগে বিশৃঙ্খলা ছিলাে, এখন মনে হয় সেটা নেই- শৃখল রয়েছে, এ রকম কেন ঘটল? একটা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কেন এখনাে বর্তমান? | এখনাে আমাদের এই চিরায়ত সামাজিক রীতি হচ্ছে পিতা-মাতা কিংবা শিক্ষকরা এ প্রশ্নের জবাবে একটু ঘাড় বাঁকা করেন অথবা অস্পষ্ট ধর্মীয় ধারণার সহায়তা নেন। এ সমস্ত প্রশ্নে কেউ কেউ অস্বস্তি বােধ করেন। তার কারণ হলাে মানুষের বােধশক্তির সীমারেখা এসব প্রশ্নগুলাে বেশ স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয়।
অপরদিকে দর্শন এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির অনেকটাই হয়েছে এ সমস্ত প্রশ্ন দ্বারা তাড়িত হয়ে। বয়স্কদের ভেতরে যারা এ সকল প্রশ্ন করতে ইচ্ছুক তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অনেক সময় তারা কিছু আশ্চর্যজনক জবাব পান। পরমাণু এবং তারকা থেকে সমান দূরত্বে আমাদের অবস্থান। খুব ক্ষুদ্র এবং খুব বৃহকে নিয়ে আমাদের অনুসন্ধানের সীমারেখা আমরা বৃদ্ধি করছি। প্রতিনিয়ত।
ভাইকিং মহাকাশযান মঙ্গলগ্রহে অবতরণের প্রায় দু বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বসন্ত ঋতুতে আমি ইংল্যান্ডে লন্ডনের রয়াল সােসাইটির উদ্যোগে আহুত একটি সভায় হাজির ছিলাম। সভার উদ্দেশ্য ছিলাে পৃথিবী বহির্ভূত জীব অনুসন্ধান কীভাবে করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলাপ-আলােচনা। কফি খাওয়ার ফাঁকে আমি দেখলাম, পাশের হলে আরাে অনেক বড় একটা সভা হচ্ছে। কৌতূহলের বশে আমি সেখানে প্রবেশ করলাম। | খুব দ্রুতই বুঝতে পারলাম যে, আমি একটা প্রাচীন রীতি দেখছি। পৃথিবীর প্রাচীনতম বিদগ্ধ জনসংগঠনগুলাের একটি রয়াল সােসাইটি। সেখানে নতুন ফেলাের অভিষেক ঘটছে। সামনের সারিতে হুইল চেয়ারে বসে একজন তরুণ খুব ধীরে একটি খাতায় নাম স্বাক্ষর